চীনের স্কুলে ছুরিকাঘাতে নিহত ৮, আহত ১৭
চীনের একটি কারিগরি স্কুলে সাবেক এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে ৮ জন নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়েছেন। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের ইক্সিং শহরের উক্সি ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট অব আর্টস অ্যান্ড টেকনোলজিতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, ২১ বছর বয়সী সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তিনি একই স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী। চলতি বছর তাঁর স্নাতক পাস করার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষায় তিনি অকৃতকার্য হন।
পুলিশের ভাষ্যমতে, তিনি (সন্দেহভাজন) রাগ প্রকাশ করতে স্কুলে এসেছিলেন। এসে তিনি এ ঘটনা ঘটান।
স্কুলটির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, সেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। স্কুলটি সাংহাই থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। এ স্কুলে শিল্প, নকশা, সিরামিক, ফ্যাশনসহ নানা বিষয়ে পড়াশোনা করা যায়।
ইক্সিং শহরের পুলিশ জানিয়েছে, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে জরুরি পরিষেবাগুলো পূর্ণমাত্রায় কাজে লাগানো হচ্ছে। হামলায় ক্ষতিগ্রস্তব্যক্তিদের যত্নের ব্যাপারে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।
চীনে ছুরিকাঘাতের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। তবে সেখানে এ ধরনের হামলায় হতাহতের ঘটনা দুর্লভ। দেশটিতে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়াও বেশ কঠিন।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে চীনের দক্ষিণাঞ্চলের ঝুহাইতে শহরে একটি ভিড়ে এক ব্যক্তির (৬২) গাড়িচাপায় ৩৫ জন নিহত ও ৪০ জনের বেশি আহত হন।
এক সপ্তাহের মধ্যে এ ধরনের দুটি ঘটনায় চীনের মানুষ হতবাক হয়ে পড়েছেন। এক্সের (টুইটার) মতো দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ওয়েবু’ ব্যবহারকারীরা এই দুই দুর্ঘটনা নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন।
ওয়েবুতে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘এ ধরনের চরমপন্থা গ্রহণের জন্য এসব ব্যক্তির কী ধরনের হতাশার মধ্যে থাকতে হয়?’
আরেক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে পড়াশোনাও বাড়াতে হবে, তাহলে এ ধরনের নাটক বন্ধ করা যাবে।’
তৃতীয় আরেক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘ধনী-গরিব বৈষম্য ক্রমে বাড়ছে। বেঁচে থাকার জন্য আজকাল সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।’