পোষা প্রাণীদের ‘কিন্ডারগার্টেন’

প্রতীকী ছবি

বাসায় পোষা প্রাণী আছে। ব্যস্ত শহুরে জীবনে কাজে গেলে প্রিয় পোষা প্রাণীটিকে দেখাশোনা কে করবে, কোথায় বা কার কাছে রেখে যাওয়া হবে, এসব নিয়ে চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়ছে। সহজ সমাধান মিলেছে চীনে। চালু হয়েছে পোষা প্রাণীদের জন্য কিন্ডারগার্টেন।

শুধু কিন্ডারগার্টেন নয়, একে পোষা প্রাণীদের দিবাযত্নকেন্দ্রও বলা যেতে পারে। প্রিয় প্রাণীকে সেখানে রেখে কাজে যান মালিকেরা। সেখানেই প্রাণীদের দেখাশোনা করা হয়। খাওয়ানো ও খেলাধুলা করানো হয়। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। শহুরে জীবনে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই সেবা। চীনজুড়ে একের পর এক এমন কিন্ডারগার্টেন গড়ে উঠছে।

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে এমন একটি কিন্ডারগার্টেনে পোষা প্রাণীদের হ্যান্ডশেক বা করমর্দন করা, দরজা বন্ধ করা, দড়িতে লাফ দেওয়া, বেল বাজানো, মাথা ঝাঁকানো, অন্য প্রাণীর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর মতো বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে।

এসব কিন্ডারগার্টেনে পোষা প্রাণীদের গোসল করানোর ব্যবস্থা আছে। গোসল করিয়ে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে তবেই পোষা প্রাণীদের মালিকের সঙ্গে বাসায় ফেরত পাঠানো হয়। পোষা প্রাণীদের যত্ন নেওয়ার জন্য এসব প্রতিষ্ঠানে পূর্ণকালীন কর্মী রয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক ভিউকে একটি ল্যাব্রাডর প্রজাতির কুকুরের মালিক বলেন, ‘এই কিন্ডারগার্টেন আমার কুকুরকে গোসল করিয়ে বাসায় পাঠায়। এ কারণে আমার জীবন অনেক সহজ হয়ে গেছে। কাজের পর বাসায় ফিরে কুকুরের যত্নের পেছনে অনেক বেশি সময় ব্যয় করতে হয় না।’

শুধু কি তা–ই। ওই মালিক আরও বলেন, কিন্ডারগার্টেনে তাঁর পোষা কুকুরটি আরও অনেক কুকুরের সঙ্গে খেলাধুলা করে। এ কারণে তাঁর কুকুরটি বেশ খোশমেজাজে থাকে।

এই সেবা বেশ ব্যয়বহুল। কিছু কিন্ডারগার্টেনে ৪৫ দিনের বিশেষ প্যাকেজ রয়েছে। সেখানে পোষা প্রাণীকে দীর্ঘ সময় রাখা যায়। এ জন্য গুনতে হয় ১ হাজার ৬৫০ ডলার। কিছু কিন্ডারগার্টেন দিবাযত্নের সেবা দিয়ে দৈনিক ৯৫ ডলার ফি নেয়। এ সেবার আওতায় পোষা প্রাণীদের জন্য ‘স্কুলবাস’ রয়েছে। প্রাণীদের এসব ‘স্কুলবাসে’ করে মালিকদের বাসা থেকে কিন্ডারগার্টেনে আনা হয়। আবার বাসায় পাঠানো হয়।