চীনে করোনাকে হারালেন ১০৬ বছর বয়সী নারী
চীনে ১০৬ বছর বয়সী এক নারী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন। পরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জিলিন প্রদেশের রাজধানী চাংচুনের একটি হাসপাতাল থেকে গত শনিবার তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ কথা জানিয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার বরাত দিয়ে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, ওই রোগীর পারিবারিক উপাধি লি। জিলিনে সর্বশেষ করোনো প্রাদুর্ভাবের পর আক্রান্ত সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।
কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর গত ১৪ এপ্রিল ওই নারীকে ফার্স্ট বেথুন হসপিটাল অব জিলিন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করা হয়। সমন্বিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা যায়, ব্রেইন অ্যাট্রোফিসহ বিভিন্ন মারাত্মক শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন তিনি।
১৩ এপ্রিল থেকে হাসপাতালটি বিকলাঙ্গ, বয়োবৃদ্ধ এবং নিজেদের যত্ন নিতে অক্ষম এমন রোগীদের চিকিৎসায় একটি বিশেষায়িত শাখা চালু করে। সেখানে চিকিৎসার জন্য ১৩০ জন রোগীকে নেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ২০ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন।
এখন পর্যন্ত হাসপাতালটিতে ২ হাজার ৭৬ জন কোভিড রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১ হাজার ৭৩৭ জন সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের শেষ দিকে প্রথম প্রাদুর্ভাবের পর সম্প্রতি ব্যাপক করোনো সংক্রমণের মুখে পড়েছে দেশটি। এতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে দেশটির ‘জিরো কোভিড নীতি’।
চীনের সাংহাই শহরে চলছে করোনার প্রকোপ। গত মার্চের শুরু থেকে শহরটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ। তাঁদের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার ব্যক্তির বয়স ৮০ বছরের বেশি। করোনার ঝাপটা তাঁদের ওপর দিয়েই বেশি যাচ্ছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র চীনে এখন পর্যন্ত করোনার সবচেয়ে বেশি প্রকোপ দেখেছে সাংহাই শহর।
এদিকে চীনের রাজধানী শহর বেইজিংয়ে মঙ্গলবার স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া উপসর্গহীন ৩ রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের সংখ্যা হঠাৎ বাড়তে শুরু করায় চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের বাসিন্দাদের আবার করোনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে।