জাতিসংঘে ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা মাহমুদ আব্বাসের
ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। পাশাপাশি ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন মাহমুদ আব্বাস। গত বছরের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর এই প্রথম সাধারণ পরিষদে কথা বললেন তিনি। মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘এই পাগলামি চলতে পারে না। আমাদের মানুষের সঙ্গে যা হচ্ছে, তার জন্য পুরো বিশ্ব দায়ী।’
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪১ হাজার ৫৩৪ জন নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ইঙ্গিত করে মাহমুদ আব্বাস বলেন, গাজায় মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকলেও ইসরায়েলকে কূটনৈতিক সুরক্ষা ও অস্ত্র দিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। এ ছাড়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে ইসরায়েলের হামলার অনুমোদন দিচ্ছে দেশটি।
ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। প্রতি বছরই দেশটিকে শত শত কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেয় মার্কিন প্রশাসন। তবে কাতার ও মিসরকে নিয়ে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। তবে সে প্রচেষ্টা এখনো আলোর মুখ দেখেনি।
গাজা যুদ্ধ পরবর্তী ১২ দফা প্রস্তাবও তুলে ধরেছেন মাহমুদ আব্বাস। গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের পুরোপুরি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, যুদ্ধের পর ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষকে (পিএ) গাজা শাসনের দায়িত্ব দেওয়া উচিত। ইসরায়েলের দখল করা পশ্চিম তীরের বিভিন্ন অংশে প্রশাসনিক দায়িত্বে রয়েছে পিএ।
এদিকে মাহমুদ আব্বাসের বক্তব্যের কয়েক মিনিট পরেই সাধারণ পরিষদে বক্তব্য দেন জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন। সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আব্বাস ২৬ মিনিট ধরে কথা বলেছেন। তবে একবার হামাসের নাম মুখে আনেননি। যখন তিনি জাতিসংঘের মঞ্চে ওঠেন, তখনই কেবল শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথা বলেন।’