১২-১৫ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যে আঘাত হানা ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল চীন
আন্তমহাদেশীয় একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে চীন। ভূগর্ভস্থ বাংকার বা প্রাচীর থেকে শত্রুকে আঘাত করতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। ডংফেং-৪১ নামের ক্ষেপণাস্ত্রটি ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যমাত্রায় আঘাত হানতে সক্ষম।
এই আন্তমহাদেশীয় একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ঠিক কোথায় বা কখন চালানো হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি চীনের গণমাধ্যম।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, কম্পিউটারভিত্তিক এ মহড়ায় কাল্পনিক শত্রুর বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। দেশটির পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড টেকটিক্যাল ক্ষেপণাস্ত্র বিভাগের পরিচালনাকারী ইউনিট রকেট ফোর্স এ ক্ষেপণান্ত্রের পরীক্ষা চালায়। তিন বছর আগে রকেট ফোর্স প্রতিষ্ঠা করে পিএলএ। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং দেশের সামরিক বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার জন্য মূলত রকেট ফোর্স প্রতিষ্ঠা করেন।
এর আগে দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পরমাণু বা বাংকার বিধ্বংসী বোমা এবং শব্দের চেয়ে ১০ গুণ দ্রুতগামী হাইপারসনিক মারণাস্ত্রের হামলা ঠেকানোর জন্য ‘ইস্পাতের ভূগর্ভস্থ মহাপ্রাচীর’ তৈরি করেছে চীন।
বিভিন্ন প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে পিএলএর সেকেন্ড আর্টিলারি ফোর্সের সাবেক কর্মকর্তা এবং ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞ সং ঝংপিং বলেন, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ডংফেং–৪১। চীনের সবচেয়ে উন্নত আন্তমহাদেশীয় একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি। সং ঝংপিং আরও বলেন, ডংফেং–৪১ চীনের পরমাণু প্রতিরোধক ক্ষমতার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। ডংফেং-৪১ ক্ষেপণাস্ত্রটি ১২ হাজার থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যমাত্রায় আঘাত হানতে সক্ষম।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, চীন তার সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত পরীক্ষা করে যাচ্ছে। এই পরীক্ষায় চীন জানিয়ে দিল যে পারমাণবিক অস্ত্রের আঘাত এলে পাল্টা আক্রমণ চলবে।