শ্রীলঙ্কায় সরকারি জোট ছাড়লেন ৪১ আইনপ্রণেতা

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে
ছবি: রয়টার্স

সরকারে এসে মন্ত্রিত্ব নেওয়ার জন্য সব দলের সদস্যদের আহ্বান জানিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তবে সর্বদলীয় সরকার গঠনে প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি বিরোধী দলগুলো। গোতাবায়া এ আহ্বান জানানোর এক দিন পর উল্টো পার্লামেন্টে তাঁর সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। আজ মঙ্গলবার সরকারি জোট ছেড়েছেন কমপক্ষে ৪১ আইনপ্রণেতা।

প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে নেতৃত্বাধীন সরকারি জোট থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছে শ্রীলঙ্কান ফ্রিডম পার্টি। দলটির নেতা মাইথ্রিপালা সিরিসেনা বলেছেন, ‘আমাদের দল জনগণের পক্ষে।’

আরও পড়ুন

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়ে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কান ফ্রিডম পার্টি সরকারি জোট ছাড়ায় রাজাপক্ষের সরকার সংখ্যালঘু সরকারে পরিণত হয়েছে। এতে সরকারের জন্য নীতিনির্ধারণ কঠিন হবে, যদিও স্বতন্ত্র আইনপ্রণেতারা সরকারের প্রস্তাবে সমর্থন দিতে পারবেন।

সড়কে নেমে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করছেন লঙ্কানরা
ছবি: রয়টার্স

অর্থনৈতিক ও বৈদেশিক মুদ্রার মজুত সংকটে দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রে খাদ্য, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ নিয়ে বিপর্যয়ের মধ্যে ক্ষমতাসীন জোট সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল। ক্ষুব্ধ শ্রীলঙ্কানরা চলমান সংকট নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষোভ থেকে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন।

বিক্ষোভের মুখে গোতাবায়া রাজাপক্ষের মন্ত্রিসভার ২৬ সদস্যের সবাই পদত্যাগ করেছেন। তবে বিক্ষোভকারীরা পদত্যাগ দাবি করলেও গোতাবায়া রাজাপক্ষে ও তাঁর ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে পদত্যাগ করেননি। উল্টো সর্বদলীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানাচ্ছেন গোতাবায়া।

জাতীয় সরকারের অংশ হয়ে মন্ত্রিত্ব গ্রহণে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের আহ্বানে কোনো বিরোধী দল সাড়া দেয়নি। পাল্টা প্রেসিডেন্টকে পদত্যাগ করার দাবি তুলেছে বিরোধী দলগুলো।

আরও পড়ুন

ঋণে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা জ্বালানিসহ অন্য পণ্য আমদানির মূল্য শোধ করতে পারছে না, করোনাভাইরাস মহামারির সময় পর্যটন খাতের ধসকে আর্থিক এই দুর্দশার বড় কারণ বলা হলেও অনেকেই বলছেন, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে দেশের সংকট সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।