তালেবান আফগানিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে প্রায় এক বছর হতে চলল। কিন্তু একটি দেশও এখন পর্যন্ত তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। নিকট প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান, মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরব, তুরস্ক কেউ না। স্বীকৃতি না মেলায় তালেবান প্রশাসন বহির্বিশ্বে দূতাবাস স্থাপন, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা, ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু, কিছুই করতে পারছে না। তবে কি তালেবানকে কোনো রাষ্ট্রই স্বীকৃতি দেবে না?
গত বছরের (২০২১) আগস্টে প্রায় ঝড়ের মতো এসে রাজধানী কাবুল দখলে নেয় তালেবান বাহিনী। পতন হয় মার্কিন সমর্থনপুষ্ট আশরাফ গনি সরকারের। ক্ষমতায় এসেই বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে তালেবান প্রশাসন। কারণ, সাধারণ জনগণ, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী—সবার মধ্যে ছিল চরম ভীতি। ব্যবসায়ীদের অনেকেই মালপত্র গুটিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। কর্মজীবী নারীদের একটা বড় অংশকে কর্মক্ষেত্র থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়। পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে মূল্যস্ফীতি। খাদ্যদ্রব্যসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম এতটা বেড়ে যায় যে সাধারণ আফগানদের পক্ষে তা কেনা কঠিন হয়ে পড়ে। অর্থনৈতিক এই সংকট মোকাবিলায় আফগানিস্তানের প্রয়োজন ছিল রিজার্ভ থেকে অর্থ নিয়ে খাদ্য কিনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া। কিন্তু তালেবান সরকার তা করতে পারেনি। কারণ, নতুন সরকারের প্রতি অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের ব্যাংকে থাকা আফগান সরকারের সাড়ে ৯ বিলিয়ন ডলার আটকে যায়। বহু অনুরোধ, আবেদন সত্ত্বেও একটা পয়সাও বের করা যায়নি।
তালেবানের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ, তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাসহ অনেক নেতাই সাম্প্রতিক সময়ে নতুন সরকারকে বৈধতা দেওয়ার জন্য বৈশ্বিক নেতাদের কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ করে যাচ্ছেন। তাঁদের ভাষ্য, স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব শর্ত তাঁরা পূরণ করেছেন। বিশেষ করে তাঁরা আহ্বান জানিয়েছেন ‘ইসলামি দেশ’গুলোর প্রতি, তাঁদের ভাষায়, ‘মুসলিম দেশগুলো যেন অন্য কোনো দেশের জন্য অপেক্ষা না করে “ইসলামিক এমিরেট অব আফগানিস্তান”কে স্বীকৃতি দিয়ে দেয়।’ স্বীকৃতি দিলে আফগানিস্তান যে তীব্র অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকট মোকাবিলা করছে, তা থেকে উত্তরণ সহজ হবে। একই সঙ্গে পশ্চিমাদের আরোপিত অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বানও জানিয়েছেন তাঁরা। তবে এখনো বরফ গলেনি।
অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও তালেবান সরকারের কিছু পদক্ষেপ প্রশংসিত হয়েছে। সরকার আগামী অর্থবছরের যে বাজেট প্রণয়ন করেছে, তাতে প্রথমবারের মতো নিজস্ব অর্থায়নের ওপর নির্ভর করা হয়েছে। কোনো দাতাদেশের অনুদানের ওপর নির্ভর করা হয়নি, আশরাফ গনি সরকারের আমলে যা হরহামেশা করা হতো। উপরন্তু দেশটির রাজস্ব আদায়ও বেড়েছে, অর্থনৈতিক মন্থরতা সত্ত্বেও। কারণ, দুর্নীতি মোকাবিলায় মোটের ওপর সরকারের একধরনের প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবানের প্রথম শাসনামলে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সর্বত্র আলোচিত ছিল। জনজীবন থেকে নারীদের বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। নিষিদ্ধ করা হয়েছিল মেয়েদের শিক্ষা। সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল, আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে, তালেবান প্রশাসনের মদদে সন্ত্রাসীদের নানা অপতৎপরতায় যুক্ত হওয়া। এসব ঘটনায় শাস্তিস্বরূপ দেশটি তখন আন্তর্জাতিক অবরোধের মুখে পড়ে।
গত জানুয়ারিতে কাবুলে আয়োজিত এক সম্মেলনে ২০টি দেশের প্রতিনিধিরা যোগ দেন, আর এতে ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন আরও কিছু দেশের প্রতিনিধি। ওই সম্মেলনে কাবুলে জাতিসংঘ মিশনের প্রধান ডেবোরাহ লিয়নস তালেবান সরকারের কিছু পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
কথা রাখেনি তালেবান
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবানের প্রথম শাসনামলে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সর্বত্র আলোচিত ছিল। জনজীবন থেকে নারীদের বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। নিষিদ্ধ করা হয়েছিল মেয়েদের শিক্ষা। সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল, আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে, তালেবান প্রশাসনের মদদে সন্ত্রাসীদের নানা অপতৎপরতায় যুক্ত হওয়া। এসব ঘটনায় শাস্তিস্বরূপ দেশটি তখন আন্তর্জাতিক অবরোধের মুখে পড়ে। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কূটনৈতিকভাবে। ওই পাঁচ বছরে তালেবান সরকার কেবল পাকিস্তান, সৌদি আরব আর সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বীকৃতি পেয়েছিল।
এবার ক্ষমতায় এসে ভিন্নভাবে দেশ পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছিল তালেবান। কিন্তু তারা পুরোপুরি কথা রাখেনি। ক্ষমতায় এসেই যেসব সরকারি চাকরি থেকে নারীদের প্রত্যাহার করা হয়েছিল, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের পুনর্বহাল করা হয়নি। গত সেপ্টেম্বরে ছেলেদের স্কুল খুলে দেওয়া হলেও দেশজুড়ে মেয়েদের মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ থাকে। নারীদের ৭২ কিলোমিটারের বাইরে পুরুষ আত্মীয় ছাড়া ভ্রমণ করা নিষেধ। হিজাব না পরলে কোনো নারীকে ট্যাক্সিতে ওঠানো যাবে না। নারী অধিকারকর্মীদের গ্রেপ্তার নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সাংবাদিকেরা প্রতিনিয়ত সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করার অভিযোগ তুলছেন।
এ ক্ষেত্রে তালেবানের বক্তব্য হচ্ছে, তারা ‘ইসলামি আইন’ ও আফগান সংস্কৃতির সীমানার মধ্যে থেকে নারীসহ সব নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করছেন। যাঁরা এই আইন লঙ্ঘন করবেন, তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে। আর তাঁদের প্রতি যেহেতু সব জনগণের সমর্থন আছে, তাই তাঁদের সরকার সব জনগণের সরকার। এই সরকারের বৈশ্বিক স্বীকৃতি পাওয়া উচিত।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসলামি দেশগুলো, বিশেষ করে আফগানিস্তানের নিকটতম প্রতিবেশী পাকিস্তানও বিশ্বাস করে, তালেবানকে আরও অনেক কিছু করতে হবে, নিজেদের শাসনের বৈধতা পেতে হলে। যেমন সরকারে থাকতে হবে সব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, যা এই মুহূর্তে নেই।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, আফগান সংস্কৃতির সীমারেখা মেনে মানবাধিকার দেওয়া হচ্ছে, এ কথা বলে তালেবান পার পাবে না। কারণ, মানবাধিকারের একটা বৈশ্বিক মানদণ্ড রয়েছে। কোনো দেশই আফগানিস্তানের জন্য সেই মানদণ্ডকে খাটো করতে চায় না।
তালেবান সরকারের আরেকটি দুর্বলতার কথা বলেছেন টনি ওয়েস্ট, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তানবিষয়ক বিশেষ দূত। ওয়াশিংটনে এক সেমিনারে সম্প্রতি তিনি বলেছেন, তিনি লক্ষ করেছেন তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিদের রাশ টেনে ধরার ব্যাপারে তারা (তালেবান) খুবই আন্তরিক। কিন্তু আল–কায়েদা দমনে তালেবানের প্রচেষ্টাকে তাঁর বেশ সন্দেহজনক মনে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র চায় সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কগুলোর দমনের বিষয়েই বৃহত্তর আস্থা। এ ছাড়া যারা তালেবানের সমালোচনাকারী তাদের গুম, হত্যার বিষয়গুলোও নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের বিষয়টি তিনি উত্থাপন করেন। তাঁর মতে, এই গুম, হত্যার বিষয়গুলো একেবারেই প্রকাশ্যে আসছে না। আর যারা জড়িত তাদের জবাবদিহির আওতায়ও আনা হচ্ছে না।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, আফগান সংস্কৃতির সীমারেখা মেনে মানবাধিকার দেওয়া হচ্ছে, এ কথা বলে তালেবান পার পাবে না। কারণ, মানবাধিকারের একটা বৈশ্বিক মানদণ্ড রয়েছে। কোনো দেশই আফগানিস্তানের জন্য সেই মানদণ্ডকে খাটো করতে চায় না। যেমন চীন, রাশিয়া, পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশ ক্ষমতা দখলের আগে থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত তালেবানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। তারা কাবুল, কান্দাহারে মানবিক সহায়তা দিচ্ছে, সরকারের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় যত দূর সম্ভব সহায়তা করছে, কিন্তু তালেবানকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার প্রশ্নে অনেক কিছু ভাবছে। বিশেষ করে মানবাধিকার ও সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি তাদের ভাবাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক উইলসন সেন্টারের এশিয়া প্রোগ্রামের উপপরিচালক মাইকেল কুগেলম্যানের ভাষ্যে, তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে কেউ প্রথম হতে চায় না!
তালেবান অবশ্য এরই মধ্যে স্বাস্থ্য খাতের নারীদের কাজে ফেরার অনুমতি দিয়েছে। নারীশিক্ষার জন্য সরকারি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়েছে। ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে বেশ কয়েকটিতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মেয়েরা ক্লাসে ফিরে গেছে। মেয়েদের ক্লাস দেরিতে শুরু করার কারণ হিসেবে তালেবান দায়ী করেছে অর্থনৈতিক সংকটকে। তবে মেয়েদের ক্লাস করতে হবে অবশ্যই ইসলামি শরিয়া আইন মেনে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, তালেবান শাসন বিশৃঙ্খল আফগানিস্তানে কিছুটা স্থিতিশীলতা এনেছে বটে, তবে এটা কত দিন টিকবে, তা এখনই কিছু বলা যায় না।
ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসির ‘রিচার্ড বরো ফেলো’ অ্যারন ওয়াই জেলিন সম্প্রতি এক গবেষণা প্রতিবেদনে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে অন্য কারও ওপর সন্ত্রাসী হামলা পরিচালনা করছে কি না এবং এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তৎপরতা ঠেকাতে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে তালেবান সরকার কতটা আন্তরিক, তা বোঝা। যুক্তরাষ্ট্রের ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত ২০২২ সালের ‘অ্যানুয়াল থ্রেট অ্যাসেসমেন্টে’র প্রতিবেদন বলছে, আফগানিস্তানে আল–কায়েদার তৎপরতা কিছুটা কমেছে। অ্যারন ওয়াই জেলিনের ভাষ্য, অবস্থাদৃষ্টে যদিও মনে হচ্ছে পরিস্থিতি এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে, তারপরও ওয়াশিংটনকে খুব ঘনিষ্ঠভাবে বিষয়টির ওপর নজর রেখে যেতে হবে।
এগিয়ে এসেছে তুরস্ক
এই বিশ্বে তুরস্ক একমাত্র দেশ যারা তালেবানের ভাবমূর্তি উন্নয়নে কাজ করছে। এরই মধ্যে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু তালেবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে দুবার বৈঠক করেছেন। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তাদের একার পক্ষে পুরো আফগানিস্তানে ভালোমতো মানবিক সহায়তা পরিচালনা কঠিন হবে। তাই তিনি বাদবাকি বিশ্বের প্রতি তালেবান প্রশাসনকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
কাভুসোগলু প্রথম কোনো বিদেশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যিনি প্রকাশ্যে তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানালেন। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট সরকারের পতন ও মার্কিন বাহিনী চলে যাওয়ার পর বেশির ভাগ দেশ যখন কাবুলে কূটনৈতিক মিশন বন্ধ করে দেয়, তখনো তুরস্কের দূতাবাস সেখানে চালু ছিল। এর দুই মাস পরে তুরস্ক মাজার-ই-শরিফেও কনসুলার সার্ভিস চালু করে। বর্তমানে তুরস্কের এক ডজনেরও বেশি এনজিও আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তায় কাজ করছে। ৩৪ প্রদেশের মধ্যে অন্তত ১৩টিতে তারা পৌঁছে গেছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নেও তাঁরা কাজ করছে।
তুরস্কের পাশাপাশি কাতারও তালেবান প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য বৈশ্বিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। গত জানুয়ারিতে তালেবান অসলোতে পশ্চিমা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার জন্য তালেবান আমন্ত্রিত হয়েছে।
এসব অগ্রগতি এটা দেখায় যে কিছু দেশ তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার খুব কাছাকাছি আছে। শিগগিরই না হলেও আর কয়েক মাসের মধ্যে তারা তালেবান প্রশাসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈধতা দিতে পারে। এটা সঠিক যে ক্ষমতা গ্রহণের এক বছরের মাথায় এসে তালেবান এখন বৈশ্বিক ব্যবস্থার সঙ্গে কিছুটা হলেও যুক্ত। অন্তত ৩৪টি দেশ তালেবান প্রশাসনের সঙ্গে একটা পর্যায় পর্যন্ত কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোও সামনে মানবিক সহায়তা ও কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়াতে পারে বলে ইঙ্গিত আছে।
(তথ্যসূত্র: বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকা ও ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসি)
• কাজী আলিম-উজ-জামান প্রথম আলোর উপবার্তা সম্পাদক