যুক্তরাষ্ট্রের ঘটে বুদ্ধি থাকলে আর কিছু করবে না: রুহানি
ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, জেনারেল কাশেম সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ প্রমাণ করে, যুক্তরাষ্ট্রের মোকাবিলায় ইরান পিছপা হয় না। টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে রুহানি এই মন্তব্য করেন। বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে মার্কিন সেনারা থাকেন—ইরাকের এমন দুটি সেনাঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। গত মঙ্গলবার রাতে সোলাইমানিকে তাঁর নিজ শহর কারমানে দাফনের কয়েক ঘণ্টা পরই এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।
তেহরানের দাবি, হামলায় ৮০ জন ‘মার্কিন সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। তবে ওয়াশিংটন বলছে, ইরানের হামলায় কেউ হতাহত হয়নি।
ইরানের এই হামলার জবাবে দেশটির ওপর তাৎক্ষণিকভাবে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
প্রতিশোধমূলক হামলা পর ইরানি প্রেসিডেন্ট রুহানি টেলিভিশনে বলেন, ‘আমেরিকা যদি একটি অপরাধ করে, তবে তাদের জেনে রাখা উচিত যে, এর জন্য তারা কড়া জবাব পাবে। তারা যদি জ্ঞানী হয়, তাহলে তারা এ অবস্থায় আর কোনো পদক্ষেপ নেবে না।’
তবে রুহানি এ কথাও উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের অন্য কোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী পাল্টা জবাব দিলে, তাকে যথেষ্ট বলা যাবে না। রুহানির মতে, যুক্তরাষ্ট্রকে আসল জবাব দিতে হবে এই অঞ্চলের দেশগুলোকে।
এ প্রসঙ্গে ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, সোলাইমানিকে হত্যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র হয়তো ইরানের ‘হাত’ কেটেছে। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ‘পা’ কাটাই হবে তার প্রতিশোধ।
ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত শুক্রবার মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের প্রভাবশালী রেভল্যুশনারি গার্ডের শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান মেজর জেনারেল কাশেম সোলাইমানি। তাঁর সঙ্গে নিহত হন ইরাকের আধা সামরিক বাহিনী হাশেদ আল-শাবির উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ ৯ জন। এ হামলার পর থেকে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চরমে ওঠে।