মৃতের সংখ্যায় সার্সকে টপকে গেল করোনাভাইরাস

করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ছবি: রয়টার্স

মৃত ব্যক্তির সংখ্যার দিক দিয়ে ২০০৩ সালের প্রাণঘাতী সার্সভাইরাসকে ছাড়িয়ে গেল করোনাভাইরাস। আজ রোববার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

নতুন করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল বলে পরিচিত চীনের হুবেই প্রদেশেই এই ভাইরাসের সংক্রমণে মারা গেছেন ৭৮০ জন। আঞ্চলিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মোট মৃত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮০৩। একজন ছাড়া অন্যদের প্রাণহানি চীনের মূল ভূখণ্ড ও হংকংয়ে ঘটেছে।

২০০৩ সালে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া সিভিয়ার অ্যাকুইটি রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স) ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭৭৪ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। নতুন করোনাভাইরাসে প্রাণহানি সার্সকে টপকে গেল।

করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মোট সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৮০০ ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের সিংহভাগই চীনা নাগরিক।

করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে গত মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে।

চীনা কর্তৃপক্ষ সবশেষ বুলেটিনে জানায়, গতকাল শনিবার এই ভাইরাসের সংক্রমণে দেশটির হুবেই প্রদেশে মারা গেছেন ৮১ জন। এ নিয়ে শুধু হুবেই প্রদেশেই মারা গেলেন ৭৮০ জন।

চীনের মূল ভূখণ্ড, হংকং ও ফিলিপাইন মিলিয়ে মোট ৮০২ জন চীনা নাগরিক করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মারা গেছেন। এর মধ্যে হংকং ও ফিলিপাইনে দুজন মারা গেছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের একজন নাগরিক মারা গেছেন। ওই মার্কিন নাগরিক চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে মারা যান।

করোনাভাইরাস সাধারণত ছড়ায় কফ, হাঁচি, কাশির মধ্য দিয়ে। এখন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি মলের মধ্য দিয়েও ছড়িয়ে থাকে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা যে ব্যাপক, তার প্রমাণও পাওয়া গেছে উহানে।