ভারত-চীনের কারণে বিশ্বজুড়ে মদ্যপানের হার বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ
১৯৯০ সালে প্রাপ্তবয়স্করা যে পরিমাণ মদ্যপান করতেন, ২০১৭ সালে এসে সেই হার বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। এক গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী মদ্যপান বেড়ে যাওয়ার পেছনে মূল দায় এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী দুই দেশ চীন ও ভারতের।
সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে। গবেষকেরা জানিয়েছেন, আগামী এক দশকের মধ্যে বিশ্বজুড়ে মদ্যপানের হার আরও ১৭ শতাংশ বাড়বে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অর্ধেক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ মদ্যপান করবেন। ১৮৯টি দেশের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। এই গবেষণাটি যুক্তরাজ্যভিত্তিক জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাময়িকী দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া জার্মানির ইনস্টিটিউট অব ক্লিনিকাল সাইকোলজি অ্যান্ড সাইকোথেরাপির গবেষক জ্যাকব ম্যানথি বলেছেন, ‘১৯৯০ সালের আগে বেশির ভাগ মদ্যপান হতো ইউরোপসহ উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে। কিন্তু এখন এই চিত্র বদলে গেছে। ভারত, চীন, ভিয়েতনামের মতো তুলনামূলক মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে মদ্যপানের হার অনেকটাই বেড়ে গেছে।’
গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, ১৯৯০ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে চীনে মদ্যপানের হার প্রায় ৭০ শতাংশ বেড়েছে। চীনা পুরুষেরা বছরে গড়ে ১১ লিটার, আর নারীরা গড়ে ৭ লিটার করে মদ্যপান করছেন বলে উঠে এসেছে এই গবেষণায়। আর ভারতীয়রা বছরে গড়ে ৬ লিটার করে মদ্যপান করে থাকেন, ১৯৯০ সালের তুলনায় যা প্রায় দ্বিগুণ।
২০২৫ সালের মধ্যে ‘ক্ষতিকর মদ্যপান’ ১০ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিওএইচও)। কিন্তু গবেষকেরা বলছেন, এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সঠিক পথে নেই বিশ্ববাসী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ক্ষতিকর মদ্যপানে বছরে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করছেন। এ কারণে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের ৭৫ শতাংশই পুরুষ।