বিমানে উঠতে আফগানদের হুড়োহুড়ি

বিমানে উঠতে আফগানদের হুড়োহুড়ি
ছবি: টুইটারের ভিডিও থেকে নেওয়া।

বিমানবন্দরের টারমাকে দাঁড়িয়ে আছে একটি উড়োজাহাজ। উড়োজাহাজটিতে উঠতে শত শত আফগানের জটলা। সবাই উড়োজাহাজে উঠতে মরিয়া। উড়োজাহাজটিতে ওঠার সিঁড়িতে চলছে হুড়োহুড়ি। কে আগে উঠবেন, তা নিয়ে ধাক্কাধাক্কি। অনেকে আবার এর ধার ধারেননি। সিঁড়ির রেলিংয়ে ঝুলেই পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন উড়োজাহাজের দরজায়। এমনই একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে।

ভিডিওটি আজ সোমবারের। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের। ২০ বছর পর আবারও শহরটির দখল নিয়েছে তালেবান। এ নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছেন শহরটির বাসিন্দারা। তালেবানের উপস্থিতি কাবুলবাসীর অনেকের জন্য যে মোটেও সুখকর নয়, ভিডিওটি থেকে তা বোঝা যায়।

এনডিটিভির খবরে ওই ভিডিওর বরাত দিয়ে জানানো হয়, তালেবান কাবুল দখলের পর থেকেই জনস্রোত দেখা গেছে কাবুল বিমানবন্দরে। দেশ ছাড়তে যেকোনো উপায়ে একটি উড়োজাহাজে উঠতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন শহরের বাসিন্দারা। লোকজনের চাপ সামলাতে সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মার্কিন সেনারা আজ ফাঁকা গুলি চালিয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। কাবুল বিমানবন্দরে অবস্থান করা এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি এখানে খুব ভয়ের মধ্যে রয়েছি। তাঁরা (মার্কিন সেনা) অনেক ফাঁকা গুলি চালিয়েছে।’

বিমানবন্দরে অবস্থান করছেন আফগানিস্তানের মার্কিন দূতাবাসের কর্মীরাও। গতকাল রোববারই তাদের দূতাবাস থেকে বিমানবন্দরে সরিয়ে নেওয়া হয়। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য সেখানে মার্কিন সেনাদের মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে যাঁরা আফগানিস্তান ছেড়ে যেতে চান, তাঁদের বাধা না দিতে তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ৬৫টি দেশ। দেশত্যাগে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা কোনো হয়রানির শিকার হলে এর দায় তালেবানকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছে দেশগুলো।
চারদিক থেকে ঘিরে ফেলার পর গতকালই কাবুলে ঢুকে পড়ে তালেবান যোদ্ধারা। এর পরপরই প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি আফগানিস্তান ত্যাগ করে তাজিকিস্তানের উদ্দেশে রওনা দেন। একপর্যায়ে দেশটির প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান বাহিনী।