ফিলিপাইনে নতুন প্রেসিডেন্ট মার্কোস জুনিয়র
ফিলিপাইনের নির্বাচনে সাবেক স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ মার্কোসের ছেলে ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন। শিগগিরই মার্কোস আগামী ছয় বছরের জন্য ফিলিপাইনের শাসনক্ষমতা গ্রহণ করবেন। তবে দেশটির মানবাধিকারকর্মীরা এ জোটের শাসনভার গ্রহণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। খবর রয়টার্সের।
ফিলিপাইন রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন সূর্যোদয় দেখল। একসময় যা অসম্ভব বলে ধরা হচ্ছিল, মার্কোস জুনিয়রের নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে সেই আলোচিত স্বৈরশাসকের পরিবারটি আবার ক্ষমতায় ফিরল।
‘বংবং’ নামে পরিচিত মার্কোস জুনিয়র তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী লেনি রোব্রেদোকে হারিয়ে রেকর্ড গড়েছেন। তিনি রোব্রেদোর চেয়ে দ্বিগুণ ভোট পেয়েছেন।
সোমবারের ওই নির্বাচনে তিন কোটির বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি। স্থানীয় সময় গত সোমবার সকাল ছয়টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত।
ফিলিপাইনের সাবেক স্বৈরশাসক ও প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস দুই দশকের বেশি সময় দেশটি শাসন করেছিলেন। ফার্দিনান্দ মার্কোসের ক্ষমতাচ্যুতির পর সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া প্রথম প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন মার্কোস জুনিয়র। ফিলিপাইনে ফার্দিনান্দ মার্কোস ১৯৮৬ সালের গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত ও নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন। তাঁর শাসনামলে ফিলিপাইনে তিন হাজারের বেশি মানুষ হত্যার শিকার হয়। বাবার ক্ষমতাচ্যুতির সাড়ে তিন দশকের বেশি সময় পর দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে এগিয়ে রয়েছেন মার্কোস জুনিয়র। আগামী মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন তিনি।
ফিলিপাইনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে নিষ্ঠুরতার কুখ্যাতি নিয়ে বিদায় নিচ্ছেন। তাঁর মাদকবিরোধী যুদ্ধে হাজারো মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এসব হত্যার ঘটনা তদন্ত করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
রদ্রিগো দুতার্তের বিরুদ্ধে ফিলিপাইনের অর্থনীতি পরিচালনায় অক্ষমতার পাশাপাশি গণমাধ্যম ও তাঁর সমালোচকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দমনপীড়ন চালানোর অভিযোগ রয়েছে। করোনা মহামারি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্যও দুতার্তে সমালোচিত। দুতার্তে ও মার্কোস পরিবারের ঘনিষ্ঠতা দেশটিতে সবার জানা। এমনকি এবারের নির্বাচনে মার্কোস জুনিয়রের রানিংমেট রদ্রিগো দুতার্তের ৪৩ বছর বয়সী মেয়ে সারা দুতার্তে-কারপিও।