থাইল্যান্ডে বাড়িতে গাঁজা চাষের সুযোগ

বাগানে গাঁজার পাতা দেখছেন এক ব্যক্তি
ফাইল ছবি: রয়টার্স

নিষিদ্ধ মাদকের তালিকা থেকে গাঁজাকে বাদ দিয়েছে থাইল্যান্ড। এই সিদ্ধান্তের ফলে এখন থেকে দেশটির মানুষ বাড়িতে গাঁজা চাষ ও বিক্রি করতে পারবে। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইনের জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচিত আছে। এমন প্রেক্ষাপটে এই অঞ্চলের প্রথম দেশ হিসেবে গাঁজাকে নিষিদ্ধ মাদকের তালিকা থেকে বাদ দিল থাইল্যান্ড।

তবে থাইল্যান্ডে নেশাজাতীয় দ্রব্য হিসেবে গাঁজার ব্যবহার নিষিদ্ধই থাকছে। যদিও কেউ কেউ বলছেন, নিষিদ্ধের তালিকা থেকে বাদ মানেই তা আর অপরাধ হবে না।

থাই সরকারের প্রত্যাশা, তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার ফলে দেশটিতে স্থানীয়ভাবে গাঁজার বাণিজ্য বাড়বে। এতে দেশটির কৃষি ও পর্যটন খাতের প্রসার ঘটবে।

গাঁজা চাষে জনগণকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিনা মূল্যে ১০ লাখ বীজ বিতরণের ঘোষণা দিয়েছে থাই সরকার।

দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী আনুতিন চারনভিরাকুল গত মাসে বলেন, এই সিদ্ধান্ত একই সঙ্গে সরকার ও জনগণের জন্য গাঁজা থেকে আয় করার একটি সুযোগ।

আজ থেকে প্রতিটি থাই পরিবার কর্তৃপক্ষের কাছে নিবন্ধনের মাধ্যমে নিজ বাড়িতে সর্বোচ্চ ছয়টি পাত্রে গাঁজার চারা রোপণ করতে পারবেন।

এ ছাড়া চাইলে যেকোনো কোম্পানি কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গাঁজা চাষ করতে পারবে। রেস্তোরাঁগুলোও নিয়ম মেনে গাঁজামিশ্রিত খাবার ও পানীয় পরিবেশন করতে পারবে।

২০১৮ সালে এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে থাইল্যান্ড চিকিৎসার ক্ষেত্রে গাঁজা ব্যবহারের বৈধতা দেয়। দেশটির ক্লিনিকগুলো এখন অধিক বাধাহীনভাবে চিকিৎসার ক্ষেত্রে গাঁজা ব্যবহার করতে পারবে।

তবে থাইল্যান্ডে ব্যক্তিগত কাজে গাঁজার ব্যবহার নিষিদ্ধই থাকছে। প্রকাশ্যে গাঁজা সেবন নিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। তাঁরা বলেন, প্রকাশ্যে গাঁজা সেবনকে উপদ্রব হিসেবে গণ্য করা হবে। যাঁরা তা করবেন, তাঁরা গ্রেপ্তারের ঝুঁকিতে পড়বেন।

থাই সরকার বলছে, গাঁজাসংক্রান্ত অপরাধে সাজা পাওয়া প্রায় চার হাজার বন্দীকে তারা মুক্তি দেবে।