২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

গুলিবিদ্ধ শিনজো আবে সংকটাপন্ন

গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর পড়ে যান শিনজো আবেছবি: রয়টার্স

গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জাপানের স্থানীয় গণমাধ্যম কিয়োডোর খবরে জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের নারা শহরে বক্তব্য দেওয়ার সময় পেছন থেকে গুলি করা ৬৭ বছর বয়সী শিনজো আবেকে।

জাপানের স্থানীয় গণমাধ্যম এনএইচকের খবর বলছে, পুলিশ ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। তাঁর বন্দুক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জাপানের সংবাদ সংস্থা জিজি প্রেস বলছে, ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির একটি সূত্র জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর শিনজো আবের গলা থেকে রক্তপাত হয়।

জাপানের গণমাধ্যম এনএইচকের খবর বলছে, ঘটনাস্থলে কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা গেছে। এরপর ধোঁয়ায় চারদিক ছেয়ে যায়। একটি রেলস্টেশনের বাইরে বক্তব্য দেওয়ার সময় আবেকে গুলি করা হয়।

ঘটনাস্থলে থাকা এনএইচকের এক সংবাদকর্মী বলেছেন, আবের বক্তব্য চলাকালে তিনি দুটি গুলির শব্দ শুনেছেন।

জাপানে দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আবে। তিনি দেশটিতে সবচেয়ে বেশি সময় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অসুস্থতার কারণে ২০২০ সালে তিনি পদত্যাগ করেন। তবে ক্ষমতায় থাকা লিবারেল ডেমোক্রেটিক দলের (এলডিপি) ওপর তাঁর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে।

তাঁর অনুসারী প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আগামী রোববার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে ভোটের সম্মুখীন হবেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, তিনি আবের ছায়া থেকে সরে এসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের ভাবমূর্তি শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন।

আবে তাঁর সরকারের অর্থনৈতিক নীতির জন্য সুপরিচিত। তাঁর সরকারের এই অর্থনৈতিক নীতি ‘আবেনমিকস’ নামে পরিচিত। তিনি প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়িয়ে সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করেছিলেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আবের সরকার প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে সেনাবাহিনীকে যুদ্ধ করার অনুমতি দেয়। ২০১৪ সালে আবের সরকার সংবিধানে ঐতিহাসিক পরিবর্তন আনে।

২০০৬ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন আবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিনিই ছিলেন সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। ২০১২ সালে তিনি দ্বিতীয়বার জাপানের প্রধানমন্ত্রী হন। রাজনৈতিক কেলেংকারি, পেনশন রেকর্ড ইস্যুতে ভোটারদের ক্ষোভ ও নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের বিপর্যয়ের মুখে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন আবে।

আবে সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারের উত্তরসূরি। তাঁর বাবা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর এক আত্মীয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

জাপানে বন্দুক সহিংসতার ঘটনা খুব কম। দেশটিতে ছোট বন্দুকের (হ্যান্ডগান) ব্যবহার নিষিদ্ধ।

আরও পড়ুন