এভারেস্টের চূড়ায় ‘বিভেদরেখা’ তৈরি করছে চীন
বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় একটি ‘বিভেদরেখা’ তৈরির ঘোষণা দিয়েছে চীন। নেপাল থেকে যাওয়া পর্বতারোহীদের সঙ্গে তাঁদের পর্বতারোহীদের মিশে যাওয়া ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে দেশটি।
সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পর্বতারোহীদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে বলে নেপালের বেসক্যাম্প থেকে সতর্কতা জানানোর এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এভারেস্টের চূড়ায় বিভেদরেখা তৈরির এই ঘোষণা এল।
চীন ও নেপালের সীমান্তে এভারেস্টের অবস্থান। উভয় দেশ থেকেই পর্বতারোহীরা এই পর্বতশৃঙ্গে ওঠেন। তবে চীন কীভাবে এভারেস্টের চূড়ায় তাঁদের বিধিবিধান প্রয়োগ করবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
গম্বুজাকৃতির এভারেস্টের চূড়ায় একসঙ্গে মাত্র ছয়জন দাঁড়াতে পারেন। ব্যস্ত দিনগুলোতে সেখানে যাওয়ার জন্য পর্বতারোহীদের লাইন ধরতে হয়।
বিবিসি বলছে, এভারেস্টের চূড়ায় লাইনটি তৈরি করার জন্য তিব্বতের পর্বতারোহণ গাইডদের একটি টিমকে পাঠানো হচ্ছে। চীনের একদল পর্বতারোহী চূড়ায় উঠবেন, তাঁরা পৌঁছানোর আগেই সেখানে লাইনটি বসানো হবে।
চীনের পর্বতারোহীরা নেপাল থেকে যাওয়া পর্বতারোহীদের সংস্পর্শে আসতে পারবেন না। তা ছাড়া চূড়ায় থাকা কোনো জিনিসপত্রও তাঁরা ধরতে পারবেন না।
এই বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের জন্য সেখানে তিব্বতের গাইডরা অবস্থান করবেন কি না, সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
তিব্বত স্পোর্টস ব্যুরোর পরিচালক চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, উত্তর ও দক্ষিণের পর্বতারোহীদের সংস্পর্শে আসার একমাত্র স্থান এভারেস্টের চূড়া।
বর্তমানে অনুমতি ছাড়া কোনো পর্যটক চীনা বেসক্যাম্পে যেতে পারছেন না। বিদেশিদের জন্য পর্বতারোহণ নিষিদ্ধও করেছে দেশটি।
অপর দিকে এভারেস্ট আরোহীদের থেকে আয়ের ওপর নির্ভরতা রয়েছে নেপালের। করোনা মহামারির এই সময়েও বিদেশিদের জন্য এভারেস্টে ওঠার সুযোগ অবারিত রেখেছে তারা।
নেপালে এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে তাদের দিক থেকে ৩০ জনের বেশি অসুস্থ পর্বতারোহীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বেসক্যাম্পে নেপাল সরকার অনুমোদিত মেডিকেল ক্লিনিক পরিচালনাকারী হিমালয়ান রেসকিউ অ্যাসোসিয়েশন গত সপ্তাহে বিবিসিকে জানিয়েছে, উদ্ধার করার পর কাঠমান্ডুতে পাঠানো কয়েকজন পর্বতারোহীর করোনা পজিটিভ হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।