উত্তর কোরিয়ার সামরিক কুচকাওয়াজের জেল্লা কমছে

উত্তর কোরিয়ার সৈনিকেরা রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে সামরিক কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করছে। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো
উত্তর কোরিয়ার সৈনিকেরা রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে সামরিক কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করছে। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের চলমান প্রক্রিয়ার মধ্যেই উত্তর কোরিয়া সামরিক কুচকাওয়াজ আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। উপগ্রহ চিত্রে এই প্রস্তুতির বিষয়টি উঠে এসেছে। তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই কুচকাওয়াজে দেশটি তার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

৯ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়ার ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। আর তাকে ঘিরেই নানা আয়োজন। এর মধ্যে কুচকাওয়াজও আছে। সেখানে ভিনদেশি অতিথিরাও থাকবেন। আর এবারই গত পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম ‘ম্যাস গেমস’ নামে পরিচিত এক বিরাট দলের নৃত্যের প্রদর্শনী হবে।

প্রতিবছর এই ৯ সেপ্টেম্বরের কুচকাওয়াজকে সামরিক শক্তি প্রদর্শনের একটি উপলক্ষ হিসেবে বেছে নেয় পিয়ংইয়ং। এবারের এই কুচকাওয়াজ এমন সময় হচ্ছে, যখন দেশটির পরমাণু ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে বেশ স্পর্শকাতর দর-কষাকষি চলছে।

গত জুন মাসে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এটি আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রে একটি বিরাট ঘটনা ছিল। বৈঠকে দুই নেতা ‘কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ সম্পন্ন করার জন্য’ কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তবে ওই বৈঠকের পর দুই পক্ষের বাদানুবাদে এই প্রক্রিয়া আর বেশি দূর এগোয়নি।

বাণিজ্যিক উপগ্রহ প্রতিষ্ঠান প্ল্যানেট ল্যাবের পাওয়া উপগ্রহ চিত্র থেকে দেখা যায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি যে ধরনের সামরিক কুচকাওয়াজ হয়েছে এবারের সে রকমই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে এবারের কুচকাওয়াজে বিতর্কিত আন্তমহাদেশীয় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শনের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। এই ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত করতে সক্ষম বলে মনে করা হয়।