আফগানিস্তানে নারী মন্ত্রণালয় হচ্ছে নৈতিকতা মন্ত্রণালয়
আফগানিস্তানে নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয় বন্ধ করে দিতে চাইছে তালেবান। এ মন্ত্রণালয়কে নীতিনৈতিকতা–বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বদল করার চেষ্টা চলছে। একসময় এ মন্ত্রণালয় কট্টর ধর্মীয় মতাদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করেছে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান সরকারের আমলে এ দপ্তর ছিল।
নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নামফলক মুছে ফেলে বসানো হয়েছে নীতিনৈতিকতা–বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ফলক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে আফগানিস্তানের বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়েছে। এতে দেখা যায়, নারীরা কর্মস্থলের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁরা ভেতরে ঢুকতে চাইছেন কিন্তু তালেবান সদস্যরা তাঁদের ঢুকতে দিচ্ছেন না। তবে এ ঘটনা একেবারে অপ্রত্যাশিত নয়। কারণ এর আগে যখন তালেবান ক্ষমতায় ছিল, তখন নারীরা বাইরে কাজ করতে পারেননি।
যদিও এরপর অবস্থার পরিবর্তন হয়েছিল; তবে নারীরা এখন ভয়ে আছেন। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, নারীদের যে অগ্রগতি, তা থমকে যেতে পারে নতুন এই তালেবান সরকারের কারণে।
এদিকে তালেবান সরকার প্রসঙ্গে বিবিসির বিদেশবিষয়ক প্রধান প্রতিবেদক লাইস ডাউসেট বলেন, তালেবান বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তারা বলেছিল, আফগানিস্তান যে বদলে গেছে, এটা তারা বুঝতে পেরেছে। কিন্তু সময় গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রতিশ্রুতি ও রাজনীতির মধ্যে ফারাক স্পষ্ট হয়ে উঠছে। যদিও তালেবান সদস্যরা নতুন নৈতিকতা–বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলছেন, ইসলাম রক্ষা করাই এ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উদ্দেশ্য।