মিয়ানমার সরকারের প্রতি বেসামরিক ব্যক্তিদের ওপর হামলা বন্ধের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রসহ ৯ দেশের
মিয়ানমারে বেসামরিক লোকজনদের ওপর হামলা বন্ধ এবং রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি দিতে জান্তা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৯ সদস্যদেশ। গতকাল সোমবার মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের আগে এক বিবৃতি দিয়ে এ আহ্বান জানায় দেশগুলো।
জান্তা সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যরা হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, স্লোভেনিয়া, সুইজারল্যান্ড, ইকুয়েডর ও মালটা। নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে ১৫ সদস্যদেশ রয়েছে। জান্তার প্রতি আহ্বান জানানো থেকে বিরত ছিল স্থায়ী সদস্য রাশিয়া ও চীন।
৯ দেশের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নির্বিচার বিমান হামলাসহ চলমান সংঘাতে বেসামরিক মানুষের যে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। নিরাপত্তা পরিষদের ২৬৬৯ রেজল্যুশন অনুযায়ী, আমরা সব ধরনের সংঘাত অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘মিয়ানমারে নির্বিচার বন্দী করা ব্যক্তিদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এই বন্দীদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিয়ন্ত সুয়ে ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি।’
নিরাপত্তা পরিষদের ৯ সদস্যের এমন আহ্বানের পর গতকাল কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ কিয়াও মোয়ে তুন। তিনি বলেন, জান্তা সরকারকে অস্ত্র, উড়োজাহাজের জ্বালানি ও অর্থ দেওয়া বন্ধ করতে হবে। কারণ, এগুলো ব্যবহার করে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার দিয়ে বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা চালাচ্ছে তারা।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে জান্তা সরকার। এর পর থেকে দেশটিতে ৪ হাজার ৪০০ জনের বেশি বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৫ হাজারের বেশি মানুষকে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ৭৮ হাজারের বেশি বেসামরিক ঘরবাড়ি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২৬ লাখ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির ১ কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে।