নেপালে যেভাবে বিধ্বস্ত হলো ইয়েতির উড়োজাহাজটি
নেপালের পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭২ আরোহী নিয়ে আজ রোববার সকালে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত উড়োজাহাজের ৪০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ৭২ আরোহী নিয়ে ইয়েতি এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি মধ্য আকাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল। এর পরপরই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানবন্দরের পাশের একটি ভবন থেকে করা ভিডিওচিত্রে এই দৃশ্য দেখা গেছে।
ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ রোববার সকালে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকাজ চলছে।
উড়োজাহাজটি কাঠমান্ডু থেকে পোখারা বিমানবন্দরে যাচ্ছিল। পোখারায় অবতরণের সময়ে পুরানা বিমানবন্দর ও পোখারা বিবামনবন্দরের মাছে প্রবাহিত সেতি গন্দকি নদীর তীরের বনভূমিতে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। উড়োজাহাজটি ওড়ার প্রায় ২০ মিনিটের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়। কাঠমান্ডু থেকে পোখারায় উড়োজাহাজের যাত্রাপথ ২৫ মিনিটের।
উড়োজাহাজের ৭২ আরোহীর মধ্যে ৬৮ যাত্রী ও ৪ ক্রু ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৫৩ জন নেপালি, পাঁচজন ভারতীয়, চারজন রাশিয়ার, একজন আইরিশ, দুজন কোরিয়ার, একজন আর্জেন্টিনার ও একজন ফরাসি নাগরিক ছিলেন।
স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান, বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। আপাতত পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল জরুরি মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন। তিনি রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোকে উদ্ধারকাজে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে সকালে ইয়েতি এয়ারলাইনসের মুখপাত্র সুদর্শন বর্তাউলা জানান, উড়োজাহাজটি ৬৮ যাত্রী ও ৪ ক্রু নিয়ে কাঠমান্ডু থেকে পোখারায় যাচ্ছিল। এ সময় পুরোনো বিমানবন্দর ও পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাঝামাঝি জায়গায় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় কেউ বেঁচে আছে কি না, তা এখনো জানা যায়নি।