পান্ডার নাম পরিবর্তনে ব্যয় কোটি টাকা

পান্ডা প্রতীকী ছবিছবি: ফ্রিপিক

চীন থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া দুটি বড় পান্ডার নাম পরিবর্তন করতে বিশাল এক কর্মযজ্ঞে নেমেছিল হংকং প্রশাসন। এ জন্য তারা খরচ করেছে ৯০ হাজার ডলারের বেশি অর্থ। বাংলাদেশি টাকায় যা ১ কোটির বেশি। করদাতাদের কাছ থেকে পাওয়া রাজস্ব থেকে এই ব্যয় হয়েছে এবং কাজের কাজ কিছুই হয়নি, সব অর্থ জলে গেছে।

এন এন এবং কে কে নামের ওই পান্ডা দুটি গত সেপ্টেম্বরে চীন থেকে উপহার হিসেবে হংকংয়ে আসে। পরের মাসে পান্ডা দুটির নাম পরিবর্তন করতে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে হংকং প্রশাসন। জনগণের কাছ থেকে নতুন নতুন নাম চাওয়া হয়।

প্রতিযোগিতার কার্যক্রম চালাতে একটি ওয়েবসাইট খোলা হয়, কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়, অনলাইনে এ জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এশিয়ার বৃহৎ এই বাণিজ্য নগরীর রেলস্টেশনগুলোতেও বিজ্ঞাপন বোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বিজয়ীদের জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়।

বিজয়ীর জন্য রাখা হয়েছিল বড় অঙ্কের অর্থ, দামি ঘড়ি এবং ওশান পার্কের সদস্যপদ ও ভাউচার। পান্ডা দুটিকে যে থিম পার্কে রাখা হয়েছে, সেটির নাম ওশান পার্ক।

কিন্তু প্রশাসনের এই উদ্যোগে বিচারকেরা পানি ঢেলে দেন। তাঁরা আদেশ দেন, পান্ডা দুটির যে নাম আছে, সেই নামই থাকবে।

তবে কেন এত অর্থের অপচয়? এমন প্রশ্নের ব্যাখ্যায় স্থানীয় সরকারের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, জনগণ যে পান্ডা দুটির আসল নাম রেখে দেওয়ার পক্ষে মত দেবে, এমনটা কর্তৃপক্ষ আগে বুঝতে পারেনি।

সাধারণত, হংকংয়ে পান্ডাদের নাম রাখার ক্ষেত্রে জনগণের কাছ থেকে নাম চাওয়া হয় অথবা জন্মের পর যখন মায়ের দুধ খায়, তখন যে নামে ডাকা হয়, সেই নামই রেখে দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষ তাদের যে নাম দেয়, অনেক সময় সেই নামও থেকে যায়। দুই পান্ডার মধ্যে এন এন ছেলে এবং কে কে মেয়ে। উভয়ের বয়স পাঁচ বছর।