সিঙ্গাপুরে ভোট ১ সেপ্টেম্বর, প্রেসিডেন্ট পদে লড়ছেন তিনজন
আগামী ১ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এদিন দ্বীপরাষ্ট্রটির জনগণ তাঁদের নতুন কান্ডারি বেছে নেবেন। নতুন প্রেসিডেন্ট পরবর্তী ছয় বছরের জন্য সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব সামলাবেন।
নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিদায় নেবেন সিঙ্গাপুরের বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান হালিমা ইয়াকুব।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন। তিনি সিঙ্গাপুরের অষ্টম ও প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।
সিঙ্গাপুরের নবম প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য এবার ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন তিনজন প্রার্থী। তাঁরা হলেন দেশটির সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী থারমান শানমুগারাতনাম (৬৬), সার্বভৌম সম্পদ তহবিল জিআইসির সাবেক বিনিয়োগ কর্মকর্তা এনজি কোক সং (৭৫) এবং বিমাপ্রতিষ্ঠান এটিইউসি ইনকামের সাবেক প্রধান নির্বাহী তান কিন লিয়ান (৭৫)।
তিন প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে ‘তরুণ’ থারমান। তিনি সিঙ্গাপুরের ক্ষমতাসীন পিপলস অ্যাকশন পার্টির (পিএপি) একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিক। যদিও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে থারমান যে দলটির পছন্দের কিংবা মনোনীত প্রার্থী, সেই ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
২০১৭ সালে যখন সিঙ্গাপুরে সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তখন হালিমা ইয়াকুব ছিলেন একমাত্র প্রার্থী। এরও বছরখানেক আগে সিঙ্গাপুরের পার্লামেন্ট দেশটির সংবিধানে সংশোধন আনে।
সংশোধনীতে বলা হয়, রাষ্ট্রপ্রধানের পদে নৃতাত্ত্বিক বৈচিত্র্য আনা হবে। সিঙ্গাপুরে বসবাসকারী কোনো জনগোষ্ঠী থেকে পরপর পাঁচ মেয়াদে কোনো ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত না হলে সেই জনগোষ্ঠীর প্রার্থী প্রেসিডেন্ট পদে যোগ্য বিবেচিত হবেন।
সংশোধিত সংবিধানের আলোকে সিঙ্গাপুরে ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে চারজন প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। একমাত্র যোগ্য প্রার্থী হিসেবে টিকে যান হালিমা ইয়াকুব। পরে তিনি দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হন। যদিও চারজন প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করা নিয়ে ওই সময় সিঙ্গাপুরে নজিরবিহীন অসন্তোষ দেখা যায়।
সিঙ্গাপুরের অধিবাসীদের চার ভাগের তিন ভাগ জাতিগতভাবে চীনা। তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৩৫ লাখ। অন্যরা মালয়, ভারতীয় ও ইউরেশিয়ান। দেশটিতে এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সব ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সিঙ্গাপুরের ২৭ লাখের বেশি ভোটার ভোট দেবেন। ১৯৯১ সালে এক আইনের মাধ্যমে দ্বীপরাষ্ট্রটির মানুষ ভোটের অধিকার পান। এর পর থেকে এটা দেশটিতে তৃতীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। দেশটিতে একজন প্রেসিডেন্ট ছয় বছর দায়িত্ব পালন করেন।