চার দিন পর সমাধি থেকে বের হয়ে এল কুকুরটি

সাত বছর আগে এই জায়গায় কুকুরটিকে সমাধিস্থ করা হয়
ছবি: ইউটিউব থেকে

ট্রাকের ধাক্কায় কুকুরটির মৃত্যু হয়েছিল ভেবে মাটি খুঁড়ে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। কিন্তু চার দিন পর অলৌকিকভাবে সে সমাধি থেকে বেরিয়ে এসেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়েংচিউন শহরের কাছে একটি গ্রামে অবিশ্বাস্য এ ঘটনা ঘটেছে। গ্রামবাসীর কাছে এই কুকুর এখন ‘দেবী’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে সাত বছর আগে। দক্ষিণ কোরিয়ার এক টিভিতে ‘হোয়াট অন আর্থ’ অনুষ্ঠানে হোসুন নামের এই কুকুরের অলৌকিকভাবে বেঁচে ওঠার কাহিনি উঠে এসেছে তার মালিকের বর্ণনায়। গ্রামের মানুষ বিশ্বাস করেন, কুকুরটি নিজেই সমাধির মাটি সরিয়ে বেরিয়ে এসেছে। এর মাধ্যমে সে নতুন এক জীবন পেয়েছে।

সাত বছর আগে বাড়ির বেষ্টনী ডিঙিয়ে পালানোর সময় হোসুন ট্রাকের ধাক্কায় মারাত্মকভাবে আহত হয়। প্রতিবেশী এক ব্যক্তি ঘটনাটি দেখে দ্রুত কুকুরটিকে উদ্ধার করেন। কিন্তু তিনি দেখতে পান, তার কোনো হৃৎস্পন্দন নেই। তখন তিনি ভেবেছিলেন, কুকুরটি মারা গেছে। ফলে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তিনি মালিকের পক্ষে গর্ত খুঁড়ে কুকুরটিকে সমাহিত করেন।

কুকুরটির মালিক কিম-সান-হ সে সময়ের ঘটনা স্মরণ করে বলেন, ‘এই ঘটনা আমার হৃদয় ভেঙে দিয়েছিল। হোসুনের জন্য আমার প্রার্থনা করা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না।’

কিম বলেন, তাঁর প্রার্থনা কাজে এসেছে। কুকুরটিকে সমাধিস্থ করার চার দিন পর তিনি হোসুনের গোঙানির শব্দ শুনতে পান। দ্রুতই তাঁর স্বামী শব্দের উৎস খোঁজা শুরু করেন। তিনি দেখতে পান, কুকুরটি একটি গর্তে পড়ে আছে। তার পুরো দেহ কাদায় আবৃত।

কিমের স্বামী ওই মুহূর্তের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘হোসুনকে এ অবস্থায় দেখে আমার শরীরের লোম খাড়া হয়ে যায়। কারণ, আমি জানি, সে মারা গেছে। এটা সত্যিই এক রহস্য।’

ট্রাকের ধাক্কায় কুকুরটির দেহের বেশ কয়েকটি হাঁড় ভেঙে গিয়েছিল বা মারাত্মক আঘাত পেয়েছিল। ফলে সে হাঁটতে বা ঠিকমতো নড়াচড়া করতে পারছিল না। তাঁরা দ্রুত কুকুরটিকে পানি খাওয়ান ও পশুচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। কিছুটা সমস্যা থাকলেও কুকুরটি এখন মোটামুটি সুস্থ।

কিম ও তাঁর স্বামী কুকুরটিকে তাঁদের সন্তানের মতো যত্ন করেন। তাকে সব ধরনের খাবার দেন। তাকে নিয়ে হাঁটতে বের হওয়া ছাড়া বাকি সময় বেঁধে রাখেন, যাতে সে আবার ব্যথা বা কোনো দুর্ঘটনার শিকার না হয়।