ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর দুর্নীতি মামলার বিচার আবার শুরু
ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান সংঘাতের কারণে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলার বিচারকাজ আবার শুরু হচ্ছে। আজ সোমবার জেরুজালেমের একটি আদালতে এ বিচারকাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
২০১৯ সালে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে প্রতারণা, ঘুষ লেনদেন ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। মামলাগুলো কেস–১০০০, কেস–২০০০ ও কেস–৪০০০ নামে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে এর বিচারকাজ চলছিল। তবে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর বিচারের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন দেশটির বিচারবিষয়ক মন্ত্রী।
কেস–১০০০ মামলায় নেতানিয়াহু ও তাঁর স্ত্রী সারার বিরুদ্ধে মদ, সিগারেটসহ বিভিন্ন ধরনের উপহার নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। বলা হয়, রাজনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে হলিউডের প্রখ্যাত প্রযোজক আরনন মিলচ্যান ও অস্ট্রেলিয়ার ধনকুবের জেমস প্যাকারের কাছে থেকে উপহারগুলো নিয়েছিলেন তিনি।
ইসরায়েলের আদালতে ঘুষ আদান–প্রদানের মামলার সত্যতা পাওয়া গেলে নেতানিয়াহুর সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানা হতে পারে। আর প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের বিষয়টি প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ তিন বছর কারাগারে থাকতে হতে পার তাঁর।
ইসরায়েলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় নেতানিয়াহু। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। নেতানিয়াহুর দাবি, মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতেই রাজনৈতিক বিরোধী ও গণমাধ্যম এগুলো করছে।