শ্রীলঙ্কার সংকট নিয়ে যা বললেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সংকটে জর্জর শ্রীলঙ্কার প্রতি নয়াদিল্লির সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, দ্বীপরাষ্ট্রটির পরিস্থিতি খুবই স্পর্শকাতর ও জটিল। এই সংকটের সময় কলম্বোকে অর্থনৈতিকভাবে সহায়তার উপায় নিয়ে গুরুত্বসহকারে ভাবছে নয়াদিল্লি।
ভারতের কেরালায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন জয়শঙ্কর। আজ বৃহস্পতিবার কলম্বো গেজেটের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জয়শঙ্কর বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার জনগণকে সহায়তা করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। কারণ, তারা আমাদের প্রতিবেশী। তারা বন্ধুত্বপূর্ণ মানুষ। আমরা তাদের সাহায্য করতে চাই। কারণ, তারা খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বন্ধুত্বের এই অনুভূতির কারণে আমরা তাদের সাহায্য করতে চাই। আমরা কয়েক মাস ধরে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে ব্যাপকভাবে সমর্থন দিয়েছি।’
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মনোযোগ শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দিকে। কীভাবে আমরা তাদের সাহায্য করতে পারি, সে বিষয়ে। আমরা অন্য বিষয়ে জড়িত নই। শুধু সংকটের অর্থনৈতিক দিকে আমরা মনোযোগ দিচ্ছি। আমরা অন্য বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। সামাজিকমাধ্যমে আসা সব বিষয়ের প্রতি আমরা প্রতিক্রিয়া জানাতে পারি না।’
জয়শঙ্কর রোববার বলেছিলেন, শ্রীলঙ্কাকে সহায়তা দিচ্ছে ভারত। দ্বীপরাষ্ট্রটির চলমান পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে নয়াদিল্লি।
শ্রীলঙ্কা অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই সংকটের প্রেক্ষাপটে গত মার্চ মাসে দেশটির হাজারো মানুষ রাজপথে নেমে আসেন। তাঁরা লাগাতার সরকারবিরোধী আন্দোলন করে আসছেন।
নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকট ও গণ-আন্দোলনের মধ্যে গত মঙ্গলবার রাতে একটি সামরিক বিমানে দেশ ছেড়ে মালদ্বীপে পালিয়ে যান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, পদত্যাগ না করেই দেশ ছেড়ে পালান তিনি।
গোতাবায়াকে মালদ্বীপে পালিয়ে যেতে ভারত সহায়তা করেছে বলে খবর বের হয়। এই খবর অস্বীকার করে নয়াদিল্লি।
গোতাবায়া তাঁর অবর্তমানে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দিয়েছেন। এই পদক্ষেপে জনরোষ আরও বেড়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে গতকাল দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন রনিল। তবে কত দিন এই জরুরি অবস্থা জারি থাকবে, তা জানানো হয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে রনিলেরও পদত্যাগ দাবি করছেন। তাঁরা বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে হবে।