আফগানিস্তানে উচ্চশিক্ষা বন্ধের প্রতিবাদে নারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
আফগানিস্তানে একদল নারী তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন। সেখান থেকে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী কাবুলে এ ঘটনা ঘটে।
গত মঙ্গলবার দেশটির সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের উচ্চশিক্ষা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তালেবান।
গতকাল বুধবার ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেননি। একজন বিক্ষোভকারী জানিয়েছেন, কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে নারী পুলিশ কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার করেছেন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নারীদের পরনে হিজাব ছিল। তাঁদের কেউ কেউ মুখও ঢেকে রাখেন। বিক্ষোভকারীদের কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে বিপুলসংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যের উপস্থিতি থাকায় তাঁরা তা পারেননি।
তালেবানের এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং কাতার, সৌদি আরবসহ বেশ কিছু মুসলিম দেশ এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে।
ছাত্রদের পরীক্ষা বর্জন
ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানে ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করার প্রতিবাদে পরীক্ষা বর্জন করেছেন ছাত্ররা। ছাত্রীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে নানগারহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পরীক্ষা বর্জন করেন। প্রতিবাদ করেছেন কান্দাহারের ছাত্ররাও। এ সময় তাঁদের হাতে প্ল্যাকার্ডও দেখা যায়।
এদিকে নারীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব, পাকিস্তান ও কাতার। এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। পাকিস্তান সরকারও এর নিন্দা জানিয়েছে।
এ ছাড়া পাকিস্তানের নারী অধিকারকর্মী নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাইও এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।