বিধ্বস্ত ঘরবাড়িতে আটকে পড়াদের উদ্ধারে জোর চেষ্টা

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের উদ্ধারে জোর দেওয়া হচ্ছে
ছবি: রয়টার্স

ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের উদ্ধারে জোর দিতে উদ্ধারকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। আজ মঙ্গলবার তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের

আগের দিন ভূমিকম্পে দেশটির পশ্চিম জাভার একটি শহর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও কয়েক শ মানুষ।

আরও পড়ুন
ভূমিকম্পে সৃষ্ট ভূমিধসের ফলে অন্তত একটি গ্রাম মাটিচাপা পড়ে
ছবি: রয়টার্স

গতকাল সোমবার ৫ দশমিক ৬ মাত্রার অগভীর এই ভূমিকম্প ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশটির পাহাড়ি এলাকায় আঘাত হানে। এতে পার্শ্ববর্তী সিয়ানজুর শহরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ভূমিধসের ফলে অন্তত একটি গ্রাম মাটিচাপা পড়ে।

কর্মকর্তারা জানান, বিধ্বস্ত বাড়িঘরের ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়ে অধিকাংশ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়াদের সরিয়ে নেওয়াকে অগ্রাধিকার দেওয়াটাই হলো আমার নির্দেশনা।’

ভূমিকম্পে প্রাণহানির ঘটনায় শোক জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তিনি জরুরি সরকারি সহায়তারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জোকা উইদোদো বলেন, ভবিষ্যৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষায় অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে ভূমিকম্প সহনীয় ঘরবাড়ি তৈরির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

আরও পড়ুন

গতকাল সোমবারের ভূমিকম্পের পর ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের অনেকে সিয়ানজুর হাসপাতালের পার্কিংয়ে রাতভর অবস্থান করেন। আহত ব্যক্তিদের একটি অংশকে অস্থায়ী তাঁবুতে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কেউ কেউ হাসপাতালের ফুটপাতে চিকিৎসা নেন। টর্চের আলোয় আহত ব্যক্তিদের সেলাই দেন চিকিৎসাকর্মীরা।

ঘটনাস্থল থেকে ৪৮ বছর বয়সী নারী কুকু বলেন, ‘সবকিছু হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে। আমি এই শিশুর নিচে পড়ে যাই।’ অশ্রুসিক্ত নয়নে তিনি বলেন, ‘আমার দুই ছেলে প্রাণে বেঁচে গেছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে আমি তাদের বের করে আনি। অন্য দুজনকে আমি এখানে নিয়ে এসেছি। এখনো একজন নিখোঁজ।’

স্থানীয় কমপাস টিভির ফুটেছে লোকজনকে খাবার ও আশ্রয় চাইতে দেখা যায়। জরুরি সহায়তা এখনো পৌঁছায়নি বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনতারাকে পুলিশের মুখপাত্র দেদি প্রসেতিও বলেন, উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য কয়েক শ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজ উদ্ধারকারীদের মূল কাজ হলো আটকে পড়াদের সরিয়ে আনা।