জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছেলেকে ‘অনুচিত আচরণের’ শাস্তি দিলেন

ফুমিও কিশিদা
ফাইল ছবি: রয়টার্স

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা তাঁর রাজনৈতিক সচিব পদ থেকে নিজের ছেলেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সরকারি বাসভবনে ‘অনুচিত আচরণের’ অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আজ সোমবার জানিয়েছেন ফুমিও কিশিদা।

গত সপ্তাহে একটি ম্যাগাজিনে খবর ছাপা হয়, শোতারো কিশিদা গত বছর নিজের সরকারি বাসভবনে এক পার্টিতে আত্মীয়দের দাওয়াত করেছিলেন। সেখানে কয়েকজনকে নিয়ে প্রেস কনফারেন্স করার মতো করে ছবি তুলেছেন এবং একজনকে লাল কার্পেটে মোড়ানো সিঁড়িতে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে।

ফুমিও কিশিদা সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত বছর জনসমাগম হয়, এমন স্থানে একজন রাজনৈতিক সচিব হিসেবে তাঁর এমন আচরণ করা উচিত হয়নি। আমরা তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শোতারো আগামী ১ জুন পদত্যাগ করবেন।’

ফুমিও কিশিদা ৩২ বছর বয়সী ছেলেকে তাঁর কৃতকর্মের জন্য তিরস্কার করেছিলেন। কিন্তু বিরোধী দলগুলো শুধু সমালোচনা করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা তার পদত্যাগ দাবি করে।

এর আগেও ছেলের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কিশিদা। ওই সময় তাঁর ছেলে ইউরোপে মন্ত্রীদের জন্য স্যুভেনির কিনতে গিয়ে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেছিলেন।
আর্থিক অনিয়ম ও বিতর্কিত ইউনিফিকেশন চার্চের সঙ্গে সম্পৃক্তার অভিযোগে গত তিন মাসে কিশিদা চারজন মন্ত্রীকে হারিয়েছেন।