হজে যেতে কোন দেশে কত খরচ

চলতি বছর হজে যেতে দেশে নিবন্ধন চলছে। আজ মঙ্গলবার ছিল হজযাত্রীদের নিবন্ধনের শেষ দিন। বিকেলে ধর্ম মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে নিবন্ধনের সময় আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে। সেই হিসেবে আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত হজে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা নিবন্ধন করতে পারবেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবার সরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের হজযাত্রার খরচের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, এসব দেশগুলোর চেয়ে হজযাত্রায় বাংলাদেশিদের বেশি টাকা খরচ করতে হয়।

জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া। অন্যান্য দেশের তুলনায় হজযাত্রায় দেশটির মুসলমানদের অনেক কম টাকা খরচ করতে হয়। সেখানে হজে যেতে হলে জনপ্রতি ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৫৩ টাকা খরচ হয়। হজযাত্রায় আরও টাকা লাগলে সেটি সরকারের ‘হজ ফান্ড ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি’ থেকে ভর্তুকি দেওয়া হয়।

২০১৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার তৎকালীন ধর্মমন্ত্রী লুকমান হাকিম দাবি করেছিলেন, আসিয়ানভুক্ত দেশের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে হজে যেতে একজন মুসল্লিকে সবচেয়ে কম টাকা খরচ করতে হয়।

মালয়েশিয়া থেকে হজে যেতে সর্বনিম্ন ২ লাখ ১৮ হাজার ৭৫৪ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫৮ হাজার ৬০০ টাকা দিতে হয়। গত বছরের ২২ এপ্রিল দেশটির সরকার হজে যাওয়ার এই খরচ ঘোষণা করে। এতে বলা হয়েছে, বি-৪০ গ্রুপের (যে পরিবারের মাসিক আয় ৯৬ হাজার টাকার কম) মুসল্লিদের জন্য ২ লাখ ১৮ হাজার ৭৫৪ টাকা। আর যেসব পরিবারের মাসিক আয় এর চেয়ে বেশি, তাদের খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৬০০ টাকা।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ধর্ম বিভাগের মন্ত্রী ইদ্রিস আহমাদ সম্প্রতি জানিয়েছেন, প্রতিবছর হজে ভর্তুকি হিসেবে সরকার ৬০০ থেকে ৮০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়।

২০২০ সালের নভেম্বরে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গে ২০১৯ সালে হজে যেতে জনপ্রতি খরচ হয়েছিল প্রায় ৩ লাখ টাকা। কিন্তু পরের বছর এই খরচ বাড়িয়ে ৪ লাখ ২৩ হাজার ৫৭১ টাকা নির্ধারণ করেছিল রাজ্যের হজ কমিটি। তবে এই বছর হজের প্যাকেজ ঘোষণা করা হলেও এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত খরচের তথ্য জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ভারতে হজে ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

চলতি বছর হজের খরচ এখনো চূড়ান্ত করেনি দেশটির সরকার। তবে পাকিস্তান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুহাম্মদ উমর বাট গত শনিবার জানিয়েছেন, এবার হজে যেতে জনপ্রতি ৩ লাখ ১১ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা খরচ হতে পারে।