হিরোশিমায় শুরু জি-৭ সম্মেলন, জাদুঘরে গিয়ে নীরব বাইডেন

পারমাণবিক হামলায় হতাহত ব্যক্তিদের স্মরণে নির্মাণ করা শান্তি জাদুঘর পরিদর্শন করেন জি-৭ নেতারা। আজ শুক্রবার সকালে, জাপানের হিরোশিমায়
ছবি: রয়টার্স

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান থেকে ফেলা পারমাণবিক বোমার ভয়াবহতার শিকার হয়েছিল জাপানের হিরোশিমা শহর। সেই শহরে আজ শুক্রবার সকালে শুরু হয়েছে বিশ্বের ধনী দেশগুলোর জোট জি-৭-এর শীর্ষ সম্মেলন।

এই সম্মেলনে আগামীকাল শনিবার যোগ দেবেন জি-৭-এর আউটরিচ নামে পরিচিত আরও আট দেশের নেতারা। এই তালিকায় রয়েছে—ভারত, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ।

জি-৭-এ নেতারা গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাগতিক দেশ জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেছেন। আজ সকালে জি-৭ নেতারা একসঙ্গে হিরোশিমায় পারমাণবিক হামলায় হতাহত ব্যক্তিদের স্মরণে নির্মাণ করা শান্তি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।

আরও পড়ুন

এ সময় জি-৭ নেতারা পারমাণবিক হামলায় হতাহত ব্যক্তিদের স্মরণ করেন। যদিও জাদুঘর পরিদর্শনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কোনো ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত ছিলেন।

এর আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামা হিরোশিমা সফর করেছিলেন। ওই সময় তিনিও হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক হামলার বিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত ছিলেন।

জাদুঘর ও স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শনের পর জি-৭-এর নেতারা আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরু করেন। জাপানের পক্ষ থেকে বৈঠকে জানানো হয়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। তবে সম্মেলনে অংশ নিতে জেলেনস্কি কখন জাপানে আসছেন, তা জানানো হয়নি।

আরও পড়ুন

ধারণা করা হচ্ছে, আগামীকালের জি-৭ আউটরিচ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন জেলেনস্কি। এমনটা হলে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর এটাই হবে জেলেনস্কির প্রথম এশিয়ার কোনো দেশে আনুষ্ঠানিক সফর।

এবারের জি-৭ সম্মেলনের আলোচ্য সূচিতে প্রাধান্য পাচ্ছে ইউক্রেন ইস্যু। মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ রাশিয়াকে শায়েস্তা করার কৌশল নিয়ে আলোচনা করবেন জি-৭ নেতারা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় চীনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে আওয়াজ তুলেছে জাপান। কিন্তু এতে জি-৭ ভুক্ত ইউরোপের দেশগুলোর আগ্রহ দেখা যায়নি। তাই এই বিষয়সহ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরে প্রভাব ধরে রাখা নিয়ে আলোচনা হলেও সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব জি-৭ গ্রহণ করবে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আজ জি-৭ নেতারা জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে অংশ নেবেন। আগামীকালের আলোচনায় বৈশ্বিক জ্বালানি সমস্যা, পরিবেশ সমস্যা, লিঙ্গ বৈষম্য দূর করাসহ আরও কিছু বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

জি-৭ সম্মেলন ঘিরে হিরোশিমায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সীমিত করা হয়েছে শহরটিতে আসা পর্যটকের সংখ্যা।

আরও পড়ুন