জাপানে ‘কফিন ক্যাফে’
জন্ম নিলে মরতে হবে, এটাই চরম সত্য। মৃত্যু কেমন, এরপরই বা কী হয়—সে অভিজ্ঞতা আগে থেকে পাওয়া সম্ভব নয়। তবে জাপানে খোলা হয়েছে ‘কফিন ক্যাফে’ নামের একটি সেবা। সেখানে অর্থ খরচ করলেই কিছুক্ষণ সময় কাটানো যাবে কফিনের মধ্যে। কফিনে শুয়ে জীবন ও মৃত্যু সম্পর্কে নিজেদের চিন্তাভাবনা ঝালিয়ে নিতে পারবেন জীবিত ব্যক্তিরা।
কফিন ক্যাফে সেবাটি খোলা হয়েছে জাপানের চিবা অঞ্চলের ফুৎসু শহরে। কফিন ক্যাফের মালিক প্রতিষ্ঠান ১৯০২ সাল থেকে জাপানে শেষকৃত্য–সংক্রান্ত সেবা দিয়ে আসছে। এরই মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির এক কর্তার মাথায় কফিন ক্যাফে চালু করার বুদ্ধি আসে। তাঁদের যে ভবনে শেষকৃত্য–সংক্রান্ত সেবা দেওয়া হয়, সেটিরই দ্বিতীয় তলায় গেলে পাওয়া যাবে এই ক্যাফে।
কফিনে শুয়ে থাকার অভিজ্ঞতা পেতে খরচ করতে হবে ১৪ মার্কিন ডলার। সোনালি, সবুজ ও হলুদ—মোট তিন ধরনের কফিন সেখানে পাওয়া যাবে। প্রতিটি কফিনই সাজানো ফুলসহ বিভিন্ন নকশায়। সেগুলো আরামদায়কও বটে। এরই মধ্যে অনেকেরই নজর কেড়েছে এই কফিন ক্যাফে। এমনকি অনেক প্রেমিক–প্রেমিকাকেও কফিনে শুয়ে সেলফি নিতে দেখা গেছে।
কফিন ক্যাফের পরিকল্পনা এসেছে ৪৮ বছর বয়সী কিয়োতাকা হিরানোর মাথা থেকে। তিনি বলেন, বেশির ভাগ তরুণ–তরুণী বিয়ে সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করেন। সামান্য কয়েকজনকে মৃত্যু সম্পর্কে ভাবতে দেখা যায়। কফিন থেকে বের হওয়ার পর পুনর্জন্মের মতো অনুভূতি পেতে পারেন তাঁরা। এ থেকে নতুন করে জীবন শুরু করার অনুপ্রেরণা পাওয়া যেতে পারে।
কফিন ক্যাফে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে জাপানের সংবাদপত্র দ্য নিক্কেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছে এই সেবা। যেমন এ নিয়ে একজন মন্তব্য করেছেন, এটি খুবই ভালো হয়েছে। একেবারে জাপানি ধারায় তৈরি।’ আরেকজন মজা করে বলেছেন, কফিনে শুয়ে থাকার সময় কি কফি পানের সুযোগ থাকবে?