ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ‘কৌশলগত পারমাণবিক মহড়া’ চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া: কেসিএনএ
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, সম্প্রতি অন্তত সাতটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। তবে উত্তর কোরিয়া বলছে, এসব ক্ষেপণাস্ত্রের সব কটিই ছিল ‘কৌশলগত পারমাণবিক’ মহড়া। আর এসব ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের কার্যক্রম ব্যক্তিগতভাবে তত্ত্বাবধান করেছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএর বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের জানুয়ারিতে দলীয় এক সভায় পাঁচ বছরের জন্য প্রতিরক্ষা উন্নয়ন পরিকল্পনার রূপরেখা দিয়েছিলেন কিম। সে সময় তিনি ‘আরও কৌশলগত ব্যবহারের জন্য’ ছোট এবং হালকা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সিউল, টোকিও ও ওয়াশিংটন যৌথ নৌ মহড়া করেছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পিয়ংইয়ং। পিয়ংইয়ং বলছে, এটা তাদের হামলার মহড়া এবং ‘পাল্টা জবাব’ হিসেবে তারা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে সমর্থন করে।
উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর একটি ইউনিট গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ‘কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র পরিচালনার সঙ্গে জড়িত’। তারা নিজেদের যুদ্ধ প্রতিরোধ এবং পারমাণবিক পাল্টা আক্রমণের সক্ষমতা পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করার জন্য এ সামরিক মহড়া করেছে বলে কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়।
এতে বলা হয়, সামরিক মহড়াস্থলে উপস্থিত থেকে পুরো মহড়া তদারক করেন কিম জং–উন। সম্প্রতি পিয়ংইয়ং অস্ত্র কর্মসূচি দ্বিগুণ করেছে। দেশটি গত সপ্তাহে জাপানের ওপর মাঝারিপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
সামরিক কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে বলছেন, উত্তর কোরিয়া আরেকটি পারমাণবিক পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
প্রসঙ্গত, উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।