ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছেছে আরও ১৩০ জনের বেশি রোহিঙ্গা

ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে পৌঁছানোর পর সমুদ্রতীরে বিশ্রাম নিচ্ছেন কয়েক রোহিঙ্গা, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ছবি: রয়টার্স

ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূলীয় এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার নতুন করে ১৩০ জনের বেশি রোহিঙ্গা পৌঁছেছে। আজ সকালে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। দেশটিতে রোহিঙ্গার ঢল নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে নতুন করে রোহিঙ্গা প্রবেশের ঘটনা ঘটল।

ইউএনএইচসিআরের হিসাবে দেখা গেছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে পৌঁছেছে।

ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত ইউএনএইচসিআরের কর্মকর্তা ফয়সাল রহমান বলেছেন, বৃহস্পতিবার পূর্ব আচেহ এলাকায় ১৩০ রোহিঙ্গা পৌঁছেছে।

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নাগরিকত্ব দেওয়া হয় না। তাদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দাবি করা হয়। বছরের পর বছর ধরে মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গারা সমুদ্রপথে প্রায়ই ভাঙাচোরা ও দুর্বল নৌকা ব্যবহার করে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় পালানোর চেষ্টা করে। নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে এ প্রবণতা বেশি থাকে। কারণ, তখন সাগর অপেক্ষাকৃত শান্ত থাকে।

তবে ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় লোকজন তাদের ভালোভাবে গ্রহণ করছে না। গত বছরের ডিসেম্বরে বান্দা আচেহ নগরের একদল বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী রোহিঙ্গাদের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে হামলা চালায়। রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করার দাবি জানায় তারা।

ইউএনএইচসিআর এ ঘটনাকে ‘উত্তেজিত জনতার আক্রমণ’ বলে উল্লেখ করেছে। তারা বলছে, অনলাইনে পরিকল্পিতভাবে ভুয়া তথ্য ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়ানো হচ্ছে। ফলে এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটছে।

গত মাসে ইউএনএইচসিআর বলেছে, ২০২৩ সালে মিয়ানমার কিংবা বাংলাদেশের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় কমপক্ষে ৫৬৯ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। ২০১৪ সালের পর সংখ্যাটা এক বছরে সর্বোচ্চ।