পাপুয়া নিউগিনির প্রত্যন্ত গ্রামে হামলায় ১৬ শিশুসহ নিহত ২৬

পাপুয়া নিউগিনির ওয়াবাগ শহরে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহড়া দিচ্ছেন সেনা সদস্যরাফাইল ছবি: এএফপি

পাপুয়া নিউগিনির দক্ষিণে প্রত্যন্ত তিনটি গ্রামে সহিংস হামলায় ১৬ শিশুসহ অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় অনেকেই গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার টুর্ক গতকাল বুধবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পাপুয়া নিউগিনিতে মর্মান্তিক প্রাণঘাতী সহিংসতার ঘটনায় আমি আতঙ্কিত। ভূমি ও হ্রদের মালিকানা এবং সেসবের ভোগ–দখলের অধিকার নিয়ে বিবাদকে কেন্দ্র করেই এ হামলা হয়েছে বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে।’

ফলকার টুর্ক বলেন, পাপুয়া নিউগিনির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো নিখোঁজ লোকজনের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে। নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ৫০ ছাড়াতে পারে।
পাপুয়া নিউগিনির পূর্ব সেপিক প্রদেশে গত ১৬ ও ১৮ জুলাই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় অনেক ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পালিয়ে যেতে বাধ্য হন দুই শতাধিক মানুষ।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পাপুয়া নিউগিনি অস্ট্রেলিয়ার উত্তরে অবস্থিত। হাজারো ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ও ভাষাভাষী মানুষের বসবাস দেশটিতে। সেখানকার জাতিগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে লড়াইয়ের ইতিহাস দীর্ঘদিনের।

তবে গত এক দশকে সহিংসতা তীব্র আকার ধারণ করেছে। গ্রামের বাসিন্দারা তির–ধনুকের পরিবর্তে বন্দুক ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতিগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে চলমান বিভেদ আরও গভীর হয়েছে।  

আরও পড়ুন

গত মে মাসে পাপুয়া নিউগিনির ইনগা প্রদেশে সহিংসতায় আটজন নিহত হন। অগ্নিসংযোগ করা হয় ৩০টি ঘরবাড়িতে। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে একই প্রদেশে অতর্কিতে হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন।

আরও পড়ুন