কাবুলে মার্কিন ড্রোন হামলার নিন্দায় তালেবান
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে মার্কিন ড্রোন হামলার নিন্দা জানিয়েছে তালেবান। খবর রয়টার্সের।
গত রোববার কাবুলের একটি আবাসনে ড্রোন হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার জাওয়াহিরির মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন।
সপ্তাহান্তে কাবুলে মার্কিন ড্রোন হামলা হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন আফগান তালেবানের মুখ্য মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ।
মার্কিন ড্রোন হামলার বিষয়ে গতকাল একটি বিবৃতি দিয়েছেন জাবিউল্লাহ। বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত রোববার কাবুলে ড্রোন হামলা হয়েছে। এই হামলা আন্তর্জাতিক নীতির লঙ্ঘন। ২০২০ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার চুক্তির লঙ্ঘন। তালেবান এই হামলার নিন্দা জানায়।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা চালায় আল-কায়েদা। এই হামলার জেরে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযানে যায় যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, আল-কায়েদাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে আসছিল আফগানিস্তানের তৎকালীন শাসক তালেবান।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সামরিক অভিযানে ২০০১ সালেই আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের পতন হয়।
২০১১ সালে পাকিস্তানে মার্কিন অভিযানে আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হন। ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর ২০১১ সালের ১৬ জুন আয়মান আল-জাওয়াহিরি আল-কায়েদার নতুন নেতা হন।
২০২০ সালে কাতারের রাজধানী দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়।
মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়ার মধ্যেই গত বছরের ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পতন হয়।
পরের মাসে তারা সরকার গঠন করে। আফগানিস্তান ছাড়ার প্রাক্কালে যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, তারা সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ থেকে সরছে না। তবে তারা সন্ত্রাস দমনের জন্য বাইরের কোনো দেশের মাটিতে মার্কিন সেনা পাঠাবে না।
ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াই নিয়ন্ত্রিত হবে দূরদিগন্ত থেকে। অর্থাৎ, স্যাটেলাইটপ্রযুক্তি ও মনুষ্যবিহীন ড্রোন ব্যবহার করে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়বে যুক্তরাষ্ট্র।