মালদ্বীপের দিকে চীনের জাহাজ

চীনের জাহাজ জিয়ান ইয়াং হং ০৩ছবি: সংগৃহীত

গবেষণার উদ্দেশ্যে একটি চীনা জাহাজ মালদ্বীপ উপকূলের দিকে যাচ্ছে। ভারতের এক সেনা কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। নয়াদিল্লির সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ার ইঙ্গিত দেওয়ার পর এ ঘটনা দেখা যাচ্ছে।

মালদ্বীপ উপকূলে চীনা জাহাজের উপস্থিতি ভারতের উদ্বেগ বাড়াতে পারে। এর আগে ২০২২ সালে ভারতের কাছাকাছি শ্রীলঙ্কার উপকূলে এ ধরনের চীনা জাহাজের উপস্থিতিকে সমস্যা হিসেবে তুলে ধরেছিল ভারত।

তবে মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছে, জাহাজটি কোনো গবেষণা করবে না বলে জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীনা সরকারের ‘জিয়ান ইয়াং হং ০৩’ জাহাজটি ‘কর্মী ও রসদের পালাবদলের জন্য’ মালদ্বীপ যাচ্ছে।

মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করেছে যে জাহাজটি মালের বন্দরে যেন ‘পোর্ট কল’ পায়, সে জন্য চীনের সরকারের পক্ষ থেকে মালদ্বীপ সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে। ৩০ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) জাহাজটি মালে পৌঁছানোর কথা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর যেকোনো জাহাজকে মালদ্বীপ সব সময় স্বাগত জানায়। এ ছাড়া নিয়মিত শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে বেসামরিক ও সামরিক জাহাজের ‘পোর্ট কল’ গ্রহণ করেছে।

আরও পড়ুন

গত নভেম্বরে ‘ইন্ডিয়া আউট’ কর্মসূচি দিয়ে মালদ্বীপের ক্ষমতায় আসেন মুইজ্জু। এর পর থেকে ভারত ও মালদ্বীপের সম্পর্কে চিড় ধরে। ভারত ও চীন—দুই দেশই মালদ্বীপের ওপর প্রভাব খাটাতে চায়। কিন্তু মুইজ্জুর সরকার বেইজিংকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। ভারতকে ১৫ মার্চের মধ্যে মালদ্বীপে থাকা তাদের সব সৈন্য সরিয়ে নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে।

এর আগে ২০১৯ সালে ভারত তাদের বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকায় বিনা অনুমতিতে চীনের জাহাজ ঢুকে পড়ায় সেটি তাড়িয়ে দিয়েছিল। ভারতের জ্যেষ্ঠ একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, এ ধরনের জাহাজের দুই রকম ব্যবহার দেখা যায়। এর সংগৃহীত তথ্য বেসামরিক কাজের পাশাপাশি সামরিক কাজে, বিশেষ করে সাবমেরিন মোতায়েনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন