আবের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার বিরোধিতায় গায়ে আগুন
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার কার্যালয়ের কাছে আজ বুধবার এক ব্যক্তি নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। পরে তাঁকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
দেশটির রাজধানী টোকিওর এ ঘটনা সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও দেশটির পুলিশ এ ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
জাপানের টিভি আসাহি বলছে, নিজের গায়ে আগুন দেওয়ার আগে ওই ব্যক্তি পুলিশকে বলেছিলেন, তিনি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী গুলিতে নিহত শিনজো আবের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পরিকল্পনার বিরোধিতা করেন।
টিভি স্টেশনটি বলছে, ওই ব্যক্তির গায়ে লাগানো আগুন নেভাতে গিয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা আহত হন।
বিবিসি অনলাইন বলছে, আগুনে দগ্ধ ব্যক্তির বর্তমান অবস্থা জানা যায়নি। তবে তাঁর বয়স সত্তরের কোটায় বলে জাপানি গণমাধ্যম বলছে।
কিয়োদো নিউজ এজেন্সিসহ দেশটির অন্যান্য গণমাধ্যম জানিয়েছে, এক ব্যক্তি আগুনে দগ্ধ হচ্ছেন—এমন তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ ডাকা হয়।
সংবাদ সংস্থাটি বলছে, আগুনে দগ্ধ হওয়া ব্যক্তির কাছেই একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। চিরকুটে আবের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পরিকল্পনার বিরোধিতার কথা লেখা আছে।
জাপানে টানা সবচেয়ে বেশি সময় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন আবে। তিনি দুই দফায় প্রায় ৯ বছর ক্ষমতায় ছিলেন।
গত ৮ জুলাই জাপানের নারা শহরে নির্বাচনী প্রচারকালে গুলিতে নিহত হন ৬৭ বছর বয়সী আবে। ঘটনার পর দেশটির পুলিশ জানায়, অসন্তুষ্টি থেকে তাৎসুইয়া ইয়ামাগামি নামের ৪১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি আবেকে হত্যা করেন।
২৭ সেপ্টেম্বর সরকারি অর্থায়নে আবের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হবে। জাপানে রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া বিরল। দেশটিতে শেষবার রাষ্ট্রীয়ভাবে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজন করা হয়েছিল ১৯৬৭ সালে। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইয়োশিদার জন্য এ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজন করা হয়।
ইতিমধ্যে আবের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সিদ্ধান্ত দেশটিতে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। জরিপের তথ্য বলছে, দেশটির প্রায় অর্ধেক জনসাধারণ এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে।