এখানে কী হচ্ছে, সেটা নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই: সিরীয় নাগরিকের ক্ষোভ

ভূমিকম্পে নিহত স্বজনদের লাশ নিয়ে যাচ্ছেন সিরীয় নাগরিকেরা
ছবি: এএফপি

তুরস্ক-সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের এক সপ্তাহ গড়িয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে লাশের স্তূপ। এর মধ্যেই দেশ দুটিতে চলছে উদ্ধার তৎপরতা। তবে সিরিয়ার বিদ্রোহী–অধ্যুষিত এলাকায় এ তৎপরতা পর্যাপ্ত নয়। খবর আল-জাজিরার

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। সেখানে পর্যাপ্ত ত্রাণসহায়তা না পাওয়ায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা বলছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাঁদের প্রত্যাখ্যান করছে।

সিরিয়ার সামারদা শহরের বাসিন্দা আবদেল মোনেম কাসেম আল-রাজুক ধ্বংসস্তূপের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘গোটা বিশ্ব সিরীয় নাগরিকদের কথা ভুলে গেছে। ইউরোপ কিংবা অন্য কোনো দেশে এমন ধ্বংসযজ্ঞ হলে বিশ্বের সবাই মিলে হতাহত লোকজনকে উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। কিন্তু এখানে কী হচ্ছে, সেটা নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই।’

আরও পড়ুন

আবেগাপ্লুত হয়ে আবদেল মোনেম বলেন, ‘চোখের সামনে ধ্বংসস্তূপ দেখে অনেক কিছুই আমার মনে পড়ছে। এই জায়গায় আমার অনেক স্মৃতি। আমার বোন ও তাঁর ছেলের পোশাক থেকে শুরু করে আরও অনেক কিছুই দেখতে পাচ্ছি। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তাঁদের ঘ্রাণ পাচ্ছি। উদ্ধারকারী সবকিছু সরিয়ে ফেললে আমি এখানে আর আসব না।’

৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। এখন পর্যন্ত ভূমিকম্পে ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তুরস্কে ৩১ হাজার ৬৪৩ এবং সিরিয়ায় ৪ হাজার ৬১৪ জন নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ বলেছে, ভূমিকম্পকবলিত দেশ দুটিতে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে।

আরও পড়ুন