শিনজো আবে হত্যা: ব্যর্থতার দায় নিয়ে জাপানের পুলিশপ্রধানের পদত্যাগ
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন জাপানের পুলিশপ্রধান ইতারু নাকামুরা। বিবিসি জানিয়েছে, ইতারু জাপানের জাতীয় পুলিশ সংস্থার প্রধান।
ইতারু নাকামুরা বলেছেন, গত ৮ জুলাই শিনজো আবের হত্যাকাণ্ড ঠেকাতে না পারার ব্যর্থতার দায় নিয়ে তিনি পদত্যাগ করতে চান।
এক তদন্তে উঠে এসেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের নিরাপত্তা সুরক্ষায় মারাত্মক ত্রুটি ছিল। জাপানের নারা শহরে এক রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় শিনজো আবেকে গুলি করা হয়। ৪১ বছর বয়সী বন্দুকধারী শিনজো আবের পেছনে গিয়ে বাড়িতে তৈরি বন্দুক ব্যবহার করে গুলি করেন। চিকিৎসকেরা জানান, শিনজো আবের ঘাড়ে দুটি গুলি লাগে এবং তাঁর হৃদ্যন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পরে নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা বলেন, আবের পুলিশি নিরাপত্তায় বড় ধরনের ঘাটতি ছিল। স্থানীয় পুলিশ ইতিমধ্যে আবের নিরাপত্তায় ত্রুটি থাকার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশপ্রধান ইতারু নাকামুরা বলেন, ‘নতুন নিরাপত্তা পরিকল্পনা যাচাই করার প্রক্রিয়ার সময় আমরা বুঝতে পেরেছি, নিরাপত্তার দায়িত্ব নতুন করে শুরু করতে হবে।’
আবে ছিলেন জাপানের সবচেয়ে পরিচিত রাজনীতিবিদ এবং সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু জুলাইয়ে নারা শহরে তিনি যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন নিরাপত্তাব্যবস্থা অনেকটা শিথিল ছিল। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে বলেন, দেহরক্ষীরা চাইলে আবেকে নিরাপত্তাবলয় তৈরি করে বা গুলির পথ থেকে সরিয়ে রক্ষা করতে পারতেন। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার পর দ্বিতীয় গুলির আগে আড়াই সেকেন্ড সময় লেগেছিল। ওই সময়ে তাঁকে রক্ষা করা যেত।
ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে তেতসুয়া ইয়ামাগামি নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তিনি পুলিশের কাছে আবেকে গুলি করার ঘটনা স্বীকার করেছেন। স্বীকারোক্তিতে তেতসুয়া বলেন, আবেকে গুলি করার কারণ, তিনি একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে ধারণা করেন তেতসুয়া। যার কারণে তেতসুয়ার মা অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন।