তাইওয়ান ঘিরে ২০২২ সালের চেয়েও বেশি জাহাজ মোতায়েন করেছে চীন: তাইপে

তাইওয়ানের কোস্টগার্ডের জাহাজের কাছে চীনা কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ, ৯ ডিসেম্বরছবি: এএফপি

স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তাইওয়ান ঘিরে অনেক জাহাজ মোতায়েন করেছে চীন। ২০২২ সালে ওই এলাকায় চীনের চালানো সামরিক মহড়ার তুলনায় আরও বেশি বড় পরিসরে এসব জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে।

২০২২ সালের সামরিক মহড়াকে এযাবৎকালে চীনের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সুন লি ফাং বলেন, ওকিনাওয়া, তাইওয়ান এবং ফিলিপাইনকে সংযোগকারী তথাকথিত ফার্স্ট আইল্যান্ড চেইন ঘিরে চীনা যুদ্ধজাহাজ, কোস্টগার্ডের জাহাজ ও অন্য জাহাজ মোতায়েনের সংখ্যা ২০২২ সালকে ছাড়িয়ে গেছে। ওই বছর মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরের প্রতিক্রিয়ায় বেইজিং ওই মহড়া চালিয়েছিল।

তাইওয়ানের জ্যেষ্ঠ এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, চীনের নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের প্রায় ৯০টি জাহাজ এখন পূর্ব চীন সাগর, তাইওয়ান প্রণালি এবং দক্ষিণ চীন সাগরের পানিসীমায় অবস্থান করছে।

এর আগে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছিল, তারা আজ ভোর ছয়টা বাজার আগের ২৪ ঘণ্টায় দ্বীপ এলাকাটির আশপাশে ৪৭টি চীনা যুদ্ধবিমান ও ১২টি যুদ্ধজাহাজ শনাক্ত করেছে।

অবশ্য এই সপ্তাহে ওই এলাকায় চীনের যত যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি দেখা গেছে, সে সংখ্যাটা ২০২২ সালের মতো নয়। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরকে কেন্দ্র করে ওই উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। তখন তাইওয়ান ঘিরে ব্যাপক আকারে সামরিক মহড়া চালিয়েছিল বেইজিং।

ওই বারই প্রথম তাইওয়ানের এত কাছে চীনের মহড়া হয়েছিল। তাইওয়ান উপকূল থেকে ২০ কিলোমিটারের কম দূরত্বের মধ্যেও কিছু মহড়া হয়েছে।

ওই মহড়ার সময় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ছুড়েছিল চীন। তখন বেইজিংয়ের এমন পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছিল ওয়াশিংটন।

তাইওয়ান নিজেদের সার্বভৌম দেশ হিসেবে দাবি করে থাকে। তবে চীনের দাবি, ভূখণ্ডটি তাদেরই অংশ। স্বশাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে বলপ্রয়োগের বিষয়টি বেইজিং উড়িয়ে দেয়নি।