থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্নের ২১৭ হাতব্যাগ, ৫০ লাখ ডলারের ঘড়ি
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা তাঁর সম্পদের তথ্য প্রকাশ করেছেন। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৪০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। বাংলাদেশের মুদ্রায় এই সম্পদের পরিমাণ ৪ হাজার ৮৯০ কোটি টাকার মতো। তবে এই সম্পদের মধ্যে তাঁর হাতব্যাগ ও হাতঘড়ির সংগ্রহ রয়েছে উল্লেখ করার মতো।
গতকাল শুক্রবার পেতংতার্নের দল ফিউ থাই পার্টির পক্ষ থেকে সম্পদের এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। পেতংতার্ন দেশটির জাতীয় দুর্নীতি দমন কমিশনের (এনএসিসি) কাছে সম্পদের হিসাব দিয়েছেন।
এনএসিসিতে দেওয়া পেতংতার্নের সম্পদের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিশেষ নকশা করা হাতব্যাগ ও বিলাসবহুল হাতঘড়ি সংগ্রহের প্রতি তাঁর ঝোঁক রয়েছে, যা বিশ্বের অনেক সংগ্রাহককে ছাড়িয়ে যেতে পারে। পেতংতার্নের সংগ্রহে রয়েছে ২১৭টিরও বেশি বিশেষ নকশা করা হাতব্যাগ ও কমপক্ষে ৭৫টি বিলাসবহুল হাতঘড়ি। এর মধ্যে ঘড়িগুলোর দাম কমপক্ষে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। আর ব্যাগগুলোর মূল্য ২০ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি।
পেতংতার্ন গত সেপ্টেম্বরে থাই প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার ছোট মেয়ে। ২০ বছরের মধ্যে সিনাওয়াত্রা পরিবার থেকে চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন পেতংতার্ন।
সম্পদের হিসাবের ঘোষণায় পেতংতার্ন জানান, মোট সম্পদের মধ্যে তিনি প্রায় ৩২ কোটি ডলার বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেছেন। বাকি অর্থ ব্যাংকে সঞ্চিত ও হাতে নগদ আকারে রয়েছে। নিজ দেশের পাশাপাশি এসব সম্পদ যুক্তরাজ্য, জাপানসহ বিভিন্ন স্থানে রয়েছে।
তবে ঋণের অর্থ বাদ দিলে পেতংতার্নের মূল সম্পদের পরিমাণ ২৬ কোটি ডলারের মতো। স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ করা এনএসিসির নথি অনুসারে, পেতংতার্নের প্রায় ৫০০ কোটি থাই বাথ, তথা সাড়ে ১৪ কোটি ডলারের ঋণ রয়েছে।
পেতংতার্নের বাবা থাকসিনের মূল সম্পদের পরিমাণ ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। থাকসিন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের টানা চারবারের চ্যাম্পিয়ন ফুটবল ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির মালিক ছিলেন। ফোর্বসের তথ্যমতে, তিনি থাইল্যান্ডের দশম ধনী ব্যক্তি।