মিয়ানমারে বন্যায় নিহত বেড়ে ৩৮৪

মিয়ানমারের নেপিডো অঞ্চলের পিনমানা শহরের বন্যাদুর্গত মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছেছবি: এএফপি

মিয়ানমারে টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮৪ জন। নিখোঁজ রয়েছে ৮৯ জন। গতকাল শনিবার দেশটির সামরিক সরকার এ তথ্য জানিয়েছে।

এক সপ্তাহের বেশি সময় আগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে আঘাত হানে টাইফুন ইয়াগি। এতে করে ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চল, লাওস, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার টানা বৃষ্টিপাত শুরু হয়। টানা বৃষ্টির কারণে দেখা দেয় বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা।

বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনার সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে আগে থেকে নানা সমস্যায় ধুঁকতে থাকা দেশটির দুঃখ-দুর্দশা আরও বেড়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান হওয়ার কয়েক মাসের মাথায় শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। এতে করে কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।

এই পরিস্থিতিতে ইয়াগির আঘাতের পর দুর্যোগ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি সহায়তার জন্য আহ্বান জানায় জান্তা সরকার। দেশটির এবারের জান্তা সরকারের এই ধরনের আহ্বান দুর্লভ।

জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা (ওসিএইচএ) শনিবার জানায়, ইয়াগির কারণে মিয়ানমারে প্রায় ৮ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  সবচেয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো ধ্বংসস্তূপ অবস্থায় রয়ে গেছে। টাইফুনের কারণে বাড়িঘর, গৃহস্থালির সম্পদ, পানির উৎস ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। রাস্তা, সেতু, যোগাযোগ নেটওয়ার্ক, স্কুল, জনসেবা সুবিধা, ধর্মীয় স্থান, ফসল ও কৃষিজমি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।