অর্থ খরচ করে চড় খেতে রেস্তোরাঁয়
রেস্তোরাঁর চেয়ারে বসে গাল এগিয়ে দিচ্ছেন অতিথিরা। ওয়েটার এসে সেই গালে বসাচ্ছেন একের পর এক চড়। না, তাঁরা দোষের কিছু করেননি; বরং তাঁদের ইচ্ছাতেই এই চড়-কাণ্ডের আয়োজন। আরও অবাক করা বিষয় হলো, চড় খেতে রীতিমতো পয়সা খরচ করছেন তাঁরা।
বিচিত্র এই কাণ্ড দেখা গেছে এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি ভিডিওতে। তাতে বলা হয়েছে, ‘সাচিহোকো-ইয়া’ নামের ওই রেস্তোরাঁ জাপানের নাগোয়া শহরে। সেখানে খাবারের মেন্যুতে রয়েছে ‘নাগোয়া লেডিস স্ল্যাপ’ নামের বিশেষ একটি পদ। ওই পদের জন্য ৩০০ ইয়েন খরচ করলেই দেদার চড় খাওয়া যাবে। তবে পছন্দের কারও হাতে চড় খেতে চাইলে খসাতে হবে অতিরিক্ত ৫০০ ইয়েন।
শুধু জাপানি নারী-পুরুষ নন, বিদেশি পর্যটকদের কাছেও নাকি ওই রেস্তোরাঁয় চড় বেশ উপভোগ্য। ‘সেভ ইউর মানি’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে বলা হয়েছে, নারী ওয়েটাররা যত জোরে চড় মারেন, রেস্তোরাঁর অতিথিরা তত আনন্দ পান। তাঁরা রাগ তো দেখানই না, বরং তাঁদের দেখে আরও তরতাজা মনে হয়। অনেকে তো আবার চড় মারা ওয়েটারকে ধন্যবাদও জানান।
২০১২ সালে এই ‘চড় সেবা’ চালু করেছিল সাচিহোকো-ইয়া। সে সময় এটি তুমুল সাড়া ফেলেছিল। চড় খেতে রেস্তোরাঁয় ভিড় জমাতে শুরু করেন বহু মানুষ। প্রথম দিকে মাত্র একজন নারী ওয়েটারই এ কাজে হাত লাগিয়েছিলেন। পরে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আরও কয়েক নারীকে নিয়োগ দেয় রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ।
তবে রেস্তোরাঁয় চড়ের ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। শেষমেশ বাধ্য হয়ে চড়ের আয়োজন বন্ধ করে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি এক্সে একটি পোস্টে তারা অনুরোধ করেছে, চড় খাওয়ার লোভে কেউ যেন সেখানে আর না যায়। কারণ, এটি বন্ধ করা হয়েছে। আর নতুন করে যেসব ভিডিও ছড়িয়েছে, তা পুরোনো। তবে ভবিষ্যতে আবার কখনো অর্থের বিনিময়ে চড় চালু হবে কি না, তা ওই পোস্টে জানানো হয়নি।