দুর্নীতির মামলা, সু চির আবারও ৬ বছরের কারাদণ্ড
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে দুর্নীতির দুই মামলায় নতুন করে আরও ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র বলছে, আজ বুধবার জান্তার আদালতে এ সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে শান্তিতে নোবেলজয়ী এ নেত্রীকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন মামলায় মোট ২৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো। খবর এএফপির।
আজ দুটি দুর্নীতি মামলার প্রতিটিতে সু চিকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সূত্র বলছে, এ দুই মামলার সাজা একই সঙ্গে কার্যকর হবে। অর্থাৎ আলাদা করে ছয় বছরের কারাদণ্ড হলেও একই সঙ্গে কার্যকর হওয়ায় তা তিন বছরে শেষ হবে। মং উইক নামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার পরিমাণ ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এ দুই মামলা করা হয়েছিল।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে।
এর পর থেকে মিয়ানমারের নির্বাচিত এই নেত্রী সামরিক বাহিনীর হেফাজতে আছেন। দুর্নীতির অভিযোগে এর পর থেকে একের পর এক মামলায় সুচির বিরুদ্ধে জান্তার আদালতে গোপনে বিচারকাজ চলছে। ইতিমধ্যে তাঁকে বিভিন্ন অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে।
আদালতের শুনানি চলার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি ছিল নিষিদ্ধ। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে সু চির আইনজীবীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে।
সূত্র বলছে, বুধবার আদালতে সু চিকে দেখে সুস্থ বলে মনে হয়েছে। তিনি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেন।
মিয়ানমারের স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংগঠনগুলো বলছে, সেনা অভ্যুত্থানের পর ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর সেনাবাহিনীর ধরপাকড় অভিযানে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৩০০–এর বেশি নিহত এবং গ্রেপ্তার হয়েছে দেড় হাজারের বেশি মানুষ।