দক্ষিণ কোরিয়ায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত: পাখির আঘাত বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছিল নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার

দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আজ রোববার সকালে দেশটির জেজু এয়ারের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। ছবিটি ভিডিও থেকে নেওয়াছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ার এক কর্মকর্তা বলেছেন, উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের আগে পাখির আঘাত বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছিল নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার।

দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়ে আরও বলেন, সতর্কতা জারির কিছুক্ষণ পরই উড়োজাহাজটির পাইলটেরা ‘মেডে’, অর্থাৎ বিপন্ন অবস্থার কথা ঘোষণা করেছিলেন।

একই কর্মকর্তা বলেন, ‘মেডে’ ঘোষণার প্রায় এক মিনিট পর উড়োজাহাজটি বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণের দুর্ভাগ্যজনক চেষ্টা করে।

এই কর্মকর্তা স্পষ্ট করে বলেননি যে, ফ্লাইটের তরফ থেকে পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগার কথা জানানো হয়েছিল কি না। তবে তিনি বলেন, বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি থেকে ব্ল্যাক বক্স (ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার) সংগ্রহ করা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আজ রোববার সকালে দেশটির জেজু এয়ারের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়েতে বিধ্বস্ত হয়।

দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উড়োজাহাজটিতে ১৭৫ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু ছিলেন। এখন পর্যন্ত ১৬৭ ব্যক্তির নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। আর দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

একটি ভিডিওতে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি বিমানবন্দরে অবতরণ করছে। রানওয়ে ধরে জোর গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ সময় উড়োজাহাজটির কোনো ল্যান্ডিং গিয়ার দেখা যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে উড়োজাহাজটি রানওয়ের শেষ প্রান্তে থাকা একটি প্রাচীরে গিয়ে প্রচণ্ডবেগে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে একটি বড় বিস্ফোরণ ঘটে। আগুনের বড় লেলিহান আকাশের দিকে উঠে যায়। পরে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়তে থাকে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে উদ্ধৃত করে দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি বলেছে, পাখির আঘাতের কারণে উড়োজাহাজটির ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন