নেপালের নাগরিক টিকা দত্ত পোখারেল। বয়স ১০০ বছর ছুঁয়েছে তাঁর। তবে বয়সের ভার তাঁকে দমাতে পারেনি। এই বয়সে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন টিকা দত্ত। তা-ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রভাবশালী প্রার্থী পুষ্প কমল দাহাল প্রচণ্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভোটে লড়ছেন তিনি। খবর এনডিটিভির।
টিকা দত্তের বাড়ি নেপালের চতুর্থ বৃহত্তম জেলা গোর্খায়। ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পার্লামেন্ট নির্বাচনে গোর্খা-২ সাংবিধানিক আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। টিকা দত্ত রাজনৈতিক দল নেপাল কংগ্রেসের হয়ে প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন তাঁর মনোনয়নপত্র মঞ্জুর করেছে। এবারের নির্বাচনে তাঁর প্রতীক বদনা।
নেপাল কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট সুশীল মান সেরচান জানান, গোর্খা-২ আসনে মোট ১১ জন প্রার্থী ভোটে লড়ছেন। প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন ৬৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহালও।
নির্বাচন কমিশনের নথিতে দেখা যায়, টিকা দত্ত যখন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন, তখন তাঁর বয়স ছিল ৯৯ বছর। গত সোমবার ছিল তাঁর জন্মদিন। এদিন টিকা দত্তের বয়স শতবর্ষ ছুঁয়ে যায়। তাই নেপালের নির্বাচনী ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রার্থী ধরা হচ্ছে তাঁকে।
শতবর্ষী টিকা দত্ত ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সাত সন্তানের জনক। হিমালয়কন্যা নেপালকে পূর্ণাঙ্গ হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান টিকা দত্ত। সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে তিনি এবারের ভোটে প্রার্থী হয়েছেন।
নেপালের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বয়স ১০০ হলেও টিকা দত্তের স্বাস্থ্য বেশ ভালো রয়েছে। দিব্যি হাঁটাচলা করতে ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। সুশীল সেরচান জানান, নির্বাচনী প্রচারেও বেশ সক্রিয় শত বছরের টিকা দত্ত। তাই প্রভাবশালী প্রার্থীর বিপরীতে তিনি জয় পাবেন বলে আশা করছে দল।
টিকা দত্তের বিষয়ে বলতে গিয়ে সুশীল সেরচান আরও বলেন, ‘দেশ এখন প্রকৃত নেতৃত্বের সংকটে ভুগছে। রাজনৈতিক নেতাদের বেশির ভাগ অর্থের পেছনে ছুটছেন। শুধু অর্থ উপার্জনের জন্য অনেকে রাজনীতিতে আসছেন। এই পরিস্থিতিতে ব্যতিক্রমী একজন প্রার্থী টিকা দত্ত।’
সুশীল সেরচান আরও বলেন, ‘তাঁর (টিকা দত্তের) ভাষ্য, ১০০ বছর বয়সে তিনি শুধু সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন।’