আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: আফগানিস্তান
তালেবান নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার কথা বলেছেন, তা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার।
তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা ও প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খানের আবেদনের পর তালেবান সরকার এ প্রতিক্রিয়া জানায়।
এক্সে পোস্ট করা আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আইসিসির আরও অনেক সিদ্ধান্তের মতোই এটির কোনো ন্যায্য আইনি ভিত্তি নেই। এটি দ্বিমুখী নীতির বিষয় এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এটা দুঃখজনক যে আইসিসি আফগানিস্তানের ২০ বছরের দখলদারত্বের সময় বিদেশি বাহিনী এবং তাদের দেশীয় মিত্রদের দ্বারা সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে অন্ধ থেকেছে।’
আফগানিস্তানের উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নবী ওমারি বলেন, ‘আইসিসি আমাদের ভয় দেখাতে পারে না।’ খোস্ত শহরের এক অনুষ্ঠানে ওমারি বলেন, ‘যদি সত্য ও ন্যায্য আদালত হতো, তাহলে তাদের উচিত ছিল যুক্তরাষ্ট্রকে আদালতে তোলা। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রই যুদ্ধের কারণ। তাদের কারণেই বিশ্বের সমস্যাগুলো তৈরি। গাজায় যুদ্ধ করার জন্য নেতানিয়াহুর সাজা হতো।’
বৈষম্যের মাধ্যমে নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা ও দেশটির প্রধান বিচারপতি আবদুল হাকিম হাক্কানির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে ২৩ জানুয়ারি আবেদন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম খান। নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত আইসিসির আদালতে করিম খান এই আবেদন করেন।
২০২১ সালের ১৫ আগস্ট তালেবান দ্বিতীয়বারের মতো আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে তারা আফগানিস্তানজুড়ে নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন শুরু করেছে, যা এখনো চলছে।
আইসিসির প্রধান কৌঁসুলির আবেদন খতিয়ে দেখবেন আন্তর্জাতিক আদালতের তিন বিচারকের একটি প্যানেল। এরপর তাঁরা রায় দেবেন। এই ধরনের আবেদনের রায় কত দিনের মধ্যে দিতে হয়, সেটার সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই। তবে এই ধরনের আবেদনের রায় দিতে গড়ে তিন মাস লাগে।