উজবেকিস্তানে সোনার খনিতে কাজের পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ

বিশ্বের অন্যতম বড় সোনার সংগ্রহ রয়েছে উজবেকিস্তানের মুরুনতাওয়েছবি: উজবেকিস্তানের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

বছর পাঁচেক আগে উজবেকিস্তানে সোনার খনিতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের খননকাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে সেগুলোর কাজের পরিবেশ নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগের কারণ, বেসরকারি খনিগুলো গোপনভাবে চলে। কী পরিমাণ সোনা তোলা হচ্ছে, কত লাভ হচ্ছে, তা নিয়ে কেউ কথা বলে না।

উত্তোলিত সোনা রাষ্ট্রীয় কোম্পানি কিংবা অলংকার ব্যবসায়ীদের কাছে বাজারদরে বিক্রি করা হয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে যত সোনা উত্তোলন করা হয়, বেসরকারিভাবে তত করা হয় না।

বিশ্বের অন্যতম বড় সোনার সংগ্রহ রয়েছে উজবেকিস্তানের মুরুনতাওয়ে৷ ২০২২ সালে সেখানে ৫০ টনের বেশি সোনা পাওয়া গিয়েছিল৷ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মুরুনতাও খনিতে সাড়ে চার হাজার টনের বেশি সোনা আছে।

বছরে ১০০ টনের বেশি সোনা উৎপাদন করে উজবেকিস্তান। ফলে বিশ্বের শীর্ষ ১০ সোনা উত্তোলনকারী দেশের মধ্যে এটি একটি। ২০২৩ সালে ৮০০ কোটি ডলারের সোনা রপ্তানি করেছিল দেশটি।

তবে উজবেকিস্তানের সোনাশিল্পের একটি কালো অধ্যায় আছে, আর সেটি হচ্ছে অবৈধ খনন। এসব খনির অবস্থান সম্পর্কে জানানো হয় না।

অলংকার ব্যবসায়ী ম্যাগোমেদ ইব্রায়েভ বলেন, মানুষ মারা যান। কারণ, খনির অবস্থান গোপন রাখার জন্য তাঁরা অনেক গভীরে টানেল খোঁড়েন। খনন করা যন্ত্রের জন্য বিদ্যুৎ প্রয়োজন। তাই তাঁরা ভূগর্ভস্থ জেনারেটর ব্যবহার করেন। এগুলো পেট্রলে চলে, এর ধোঁয়ায় আশপাশের পরিবেশ ছেয়ে যায়। তখন দম বন্ধ হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়। অবৈধ খনি থেকে লাভ হলেও অনেক মানুষ মারা যান। এ জন্য কাউকে জবাবদিহি করতে হয় না।

আরও পড়ুন