আফগান নারীদের ওপর তালেবানের নিষেধাজ্ঞার নিন্দায় নিরাপত্তা পরিষদ
আফগানিস্তানে নারীদের ওপর তালেবানের নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। খবর রয়টার্সের।
১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ গতকাল মঙ্গলবার আফগানিস্তানে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা ও বেসরকারি সাহায্য সংস্থায় কাজ করার ওপর তালেবানের নিষেধাজ্ঞার নিন্দা জানায়।
আফগানিস্তানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারী ও মেয়েদের পূর্ণ, সমান ও অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির জন্য দেশটির কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ।
ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে নিরাপত্তা পরিষদ বলেছে, আফগানিস্তানে হাইস্কুলে, বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়ে ও নারীদের পড়ার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তা মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধার ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান ক্ষয়ের প্রতিনিধিত্ব করে।
সম্প্রতি আফগানিস্তানে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তালেবান। গত মার্চে মেয়েদের হাইস্কুলে নিষিদ্ধ করা হয়। গত শনিবার আফগানিস্তানের তালেবান সরকার দেশটিতে দেশি-বিদেশি সব এনজিওতে নারীদের কাজ বন্ধের নির্দেশ জারি করে তালেবান। এসব নির্দেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
নিরাপত্তা পরিষদ বলেছে, আফগান নারী মানবিককর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশটির মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে তাৎক্ষণিক ও তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব পড়বে।
নিরাপত্তা পরিষদ বলেছে, আফগান জনগণের কাছে তালেবান যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তার সঙ্গে এসব নিষেধাজ্ঞা সাংঘর্ষিক। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে প্রত্যাশা, তার সঙ্গেও এগুলো যায় না।
নারীদের ওপর তালেবানের নিষেধাজ্ঞার পর দেশটিতে অন্তত ছয়টি এনজিও তাদের কার্যক্রম স্থগিত করেছে। এগুলো হলো কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল, দ্য নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল (এনআরসি), সেভ দ্য চিলড্রেন, ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি, ক্রিশ্চিয়ান এইড ও একশনএইড।
গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। ক্ষমতা দখলের পর তারা নারী অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তারা নারী অধিকার খর্ব করে চলছে।