মাঝ আকাশে তীব্র ঝাঁকুনি, আহত যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দেবে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস
মাঝ আকাশে উড়োজাহাজে তীব্র ঝাঁকুনির ঘটনায় আহত যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দেবে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। আজ মঙ্গলবার ফেসবুক পোস্টে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার এই ঘোষণা দিয়েছে এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ।
গত ২০ মে লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরগামী একটি ফ্লাইটে এ ঘটনা ঘটে। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস জানিয়েছে, সেদিনের ঘটনায় সামান্য আহত যাত্রীদের প্রত্যেককে ১০ হাজার মার্কিন ডলার করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া যেসব যাত্রীর আঘাত ছিল গুরুতর, তাৎক্ষণিক প্রয়োজন বিবেচনায় তাঁদের অগ্রিম ২৫ হাজার ডলার করে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আরও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
সেই ফ্লাইটের কতজন যাত্রীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, এ নিয়ে জানতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বিবিসি। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে এয়ারলাইনসটির সাড়া মেলেনি।
মিয়ানমারের আকাশসীমায় থাকাকালে উড়োজাহাজটিতে তীব্র ঝাঁকুনি শুরু হয়। পরে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে উড়োজাহাজ জরুরি অবতরণ করেন পাইলটরা। এ ঘটনায় ৭৩ বছর বয়সী এক ব্রিটিশ যাত্রীর মৃত্যু হয়। ব্যাংককের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শতাধিক যাত্রীকে। এর মধ্যে একটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তখন জানিয়েছিল, যাত্রীদের কেউ কেউ মাথা ও মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়েছেন।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, মাঝ আকাশে হঠাৎই উড়োজাহাজটি দ্রুত ওঠানামা করতে থাকে। একপর্যায়ে মাত্র ৪ দশমিক ৬ সেকেন্ডে উড়োজাহাজটি ১৭৮ ফুট নিচে নেমে যায়। যাত্রীদের বর্ণনা থেকে জানা যায়, সিট বেল্ট পরা ছিল না, এমন যাত্রী ও ক্রু সদস্যরা সেই সময় আসন থেকে ছিটকে উড়োজাহাজের বিভিন্ন স্থানে পড়ে যান। তাঁদের মধ্যে অনেকে কেবিনের ছাদে গিয়েও আছড়ে পড়েন।
উড়োজাহাজটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের। সেই ফ্লাইটে ২১১ জন যাত্রী ও ১৮ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষে জানিয়েছে, ওই ফ্লাইটের সব যাত্রীর ভাড়া ফেরত দেওয়া হয়েছিল।