মাদক পরীক্ষা করিয়েছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী
পার্টিতে অংশ নিয়ে নাচগান করার একটি ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সান্না মারিন। তিনি ওই পার্টিতে মাদক সেবন করেছেন কি না, তা নিশ্চিত হতে তাঁকে স্বেচ্ছায় মাদক পরীক্ষা করানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধীরা। জোট সরকারের নেতাদের কেউ কেউ একই কথা বলছেন। তবে পার্টিতে মাদক গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী মারিন। তিনি বলেছেন, মাদক পরীক্ষা (ড্রাগ টেস্ট) করিয়েছেন তিনি। আগামী সপ্তাহে এর ফল জানা যাবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে সান্না মারিন এবং তাঁর বন্ধুদের একটি পার্টিতে নাচতে ও গাইতে দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বিরোধী দলগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েন মারিন। গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রী মারিন বলেন, ‘আমার লুকানোর কিছু নেই। আমি মাদক সেবন করিনি। তাই পরীক্ষা করাতে আমার কোনো সমস্যা নেই।’ তিনি আরও বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে তিনি একটি সন্ধ্যা কাটাচ্ছিলেন এবং ভিডিওটি তাঁর ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান থেকে ধারণ করা হয়েছিল।
ভিডিওতে মারিনের নাচকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য অনুপযুক্ত আচরণ বলে কেউ কেউ সমালোচনা করেছেন। তবে অনেকেই অনুষ্ঠান উপভোগ করা মারিনের ব্যক্তিগত অধিকার বলেও মত দিয়েছেন।
মারিনের জোট সরকারের অংশ সেন্টার পার্টির সংসদ সদস্য মিককো কারনা এক টুইট করে বলেন, নেতার জন্য স্বেচ্ছায় মাদক পরীক্ষা করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ৩৬ বছর বয়সী মারিন মাদক গ্রহণের কথা অস্বীকার করে বলেন, তিনি শুধু অ্যালকোহল পান করেছেন।
মারিন অবশ্য তাঁর দলের সমর্থন পাচ্ছেন। সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির পার্লামেন্টারি গ্রুপের প্রধান অ্যান্টি লিন্ডটম্যান বলেন, ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে বন্ধুদের সঙ্গে নাচতে তিনি বড় ধরনের কোনো সমস্যা দেখেন না।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মারিন। এর আগেও তিনি সরকারি বাসভবনে পার্টি করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। ২০১৯ সালে করোনা মহামারির ঝুঁকি জেনেও তিনি রাতভর পার্টি করায় সমালোচিত হয়েছিলেন। ওই সময় ফিনল্যান্ডের টিভি চ্যানেল এমটিভি থ্রি এক জরিপ চালায়। তাতে এক-তৃতীয়াংশের মত ছিল মারিন রাতে পার্টি করে মারাত্মক ভুল করেছেন।